ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে লাল কেল্লার কাছে একটি গাড়িতে বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৩ জনে দাড়িয়েছে। এঘটনায় আরও আহত হয়েছেন ২৪ জন।
সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিটে লালকেল্লার বাইরে মেট্রোর এক নম্বর গেটের কাছে একটি হুন্ডায় আই২০ গাড়িতে এই বিস্ফোরণ ঘটে।
ঘটনার পর থেকে ভারতের শীর্ষ সন্ত্রাস তদন্ত সংস্থা- জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) এবং কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী, জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষীসহ (এনএসজি) স্থানীয় পুলিশ পুরো এলাকাটি ঘিরে রেখেছে।
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা গেছে, একটি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত গাড়িসহ বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন জ্বলছে, অনেক গাড়ির গাড়ির কাঁচ ভেঙে গেছে এবং ছিন্ন-ভিন্ন কয়েকটি মরদেহ মাটিতে পড়ে আছে।
দিল্লি পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, এটি একটি অত্যন্ত শক্তিশালী বিস্ফোরণ ছিল। এতে বিস্ফোরিত ওই গাড়ির আশপাশের থাকা আরও তিন থেকে চারটি গাড়িতেও আগুন ধরে যায় এবং কমপক্ষে ২২টি যানবাহন ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
তবে কী কারণে এই বিস্ফোরণ ঘটল— সে সম্পর্কে এখনও কোনো তথ্য না দিলেও সম্ভাব্য সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা করছেন দিল্লি পুলিশ কর্মকর্তারা।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত দিল্লির পুলিশ কমিশনার সতীশ গোলচা বলেন, ‘সন্ধ্যা ৬.৫৫ মিনিটের দিকে ধীরগতিতে চলা একটি গাড়ি এসে সুভাসমার্ক চকে রেড সিগনালে থামার সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরণ ঘটে। এই ঘটনায় কয়েকজন মারা গিয়েছেন এবং কিছু জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে... বিস্তারিত পরে জানানো হবে।’
এদিকে নয়াদিল্লিতে বিস্ফোরণের পর তাৎক্ষণিকভাবে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং দিল্লির পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ইতোমধ্যেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন অমিত শাহ।
অন্যদিকে, বিস্ফোরণের পরপরই গোটা দিল্লিসহ মুম্বাই, জয়পুর, উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডসহ বেশকিছু রাজ্য ও অঞ্চলে উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে কতৃপক্ষ।
সূত্র: এনডিটিভি