
গাজা সীমান্তের কাছে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ৫০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে একটি বিশাল সামরিক ঘাঁটি নির্মাণের পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার ইসরায়েলি গণমাধ্যম ইয়েদিওথ আহরোনোথ এ তথ্য জানিয়েছে।
ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘এই প্রকল্পটি হবে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে প্রথম বৃহৎ আকারের মার্কিন সামরিক স্থাপনা, যা গাজায় যুদ্ধ-পরবর্তী স্থিতিশীলতা প্রচেষ্টার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন ঘটাবে।’
সূত্রগুলো জানিয়েছে, এই ঘাঁটিতে কয়েক হাজার মার্কিন সেনার পাশাপাশি একটি আন্তর্জাতিক টাস্ক ফোর্স— ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যাবিলাইজেশন ফোর্স (আইএসএফ) মেতায়েন থাকবে, যা গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে গঠনের কথা রয়েছে। গত সপ্তাহে ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর সঙ্গে একটি মার্কিন প্রতিনিধি দল সম্ভাব্য স্থান নিয়েও আলোচনা করেছে।
একজন ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলেছেন, ‘ইসরায়েলি মাটিতে ঘাঁটি স্থাপনের মাধ্যমে প্রমাণিত হয় যে গাজা এবং বৃহত্তর ইসরায়েলি-ফিলিস্তিনি সংঘাতে জড়িত থাকতে ওয়াশিংটন কতটা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ’।
যদিও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সসহ বেশ কয়েকজন মার্কিন কর্মকর্তা পূর্বে নিশ্চিত করেছিলেন, গাজায় কোনও আমেরিকান সেনা থাকবে না। বর্তমানে যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণের জন্য দক্ষিণ ইসরায়েলের কিরিয়াত গাটে মার্কিন-সমর্থিত বেসামরিক-সামরিক সমন্বয় কেন্দ্রে (সিএমসিসি) ২০০ জন মার্কিন সামরিক কর্মী মোতায়েন রয়েছেন।
এই প্রতিবেদনের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র বা ইসরায়েলের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটি বানানোর সিদ্ধান্তে উদ্বেগ দেখা গেছে মধ্যপ্রাচ্যে। অনেকের ধারণা, ইসরায়েলকে সাহায্য করতে এটি যুক্তরাষ্ট্রের নতুন আগ্রাসনের ইঙ্গিত। এই ঘাঁটি ওয়াশিংটনকে ইসরালের সরাসরি সমন্বয় ছাড়াই কাজ করার ক্ষমতা দেবে এবং পরিস্থিতি নিজেদের মতো গঠন করার সুযোগ তৈরি করবে যুক্তরাষ্ট্র।
বিশ্লেষকদের মতে, ইসরাইলের গাজায় চলমান গণহত্যামূলক যুদ্ধ নিয়ে বৈশ্বিক ক্ষোভ যখন তীব্র হচ্ছে, তখন এই পরিকল্পনা প্রকাশ্যে এসেছে। তাদের মতে, ইসরাইল হয়তো সাময়িকভাবে আন্তর্জাতিক চাপ কমাতে তার মিত্রদের মাধ্যমে নিজের লক্ষ্য পূরণের চেষ্টা করছে।
ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা এই বিষয়ে সতর্ক করেছেন, এই ধরনের পদক্ষেপ এক দখলদারিত্বকে অন্য দখলদারিত্ব দিয়ে প্রতিস্থাপন করার প্রচেষ্টা মাত্র।
সূত্র: আনাদোলু, প্রেসটিভি
























