০১:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫

জাতিসংঘের প্রতিবেদন: এআই উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের ব্যবধান আরো বাড়াতে পারে

  • আপডেট সময়: ০১:২১:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৫
  • 13

ফাইল ছবি: রয়টার্স


কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে ব্যবধান আরো বাড়িয়ে দিতে পারে বলে মঙ্গলবার প্রকাশিত জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে এমন সতর্কবার্তা দিয়ে এর প্রভাব সীমিত রাখতে নীতিগত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) ওই প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে, অর্থনৈতিক সক্ষমতা, মানুষের দক্ষতা এবং শাসনব্যবস্থার দিক থেকে দেশগুলোর মধ্যে একটি সম্ভাব্য ‘বৃহৎ বিভাজন’ সৃষ্টি হতে পারে।

জেনেভায় এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে ইউএনডিপির এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় আঞ্চলিক ব্যুরোর প্রধান অর্থনীতিবিদ ফিলিপ শেলেকেন্স বলেন, ‘আমাদের ধারণা, এআই দেশগুলোর মধ্যে ক্রমবর্ধমান বৈষম্যের একটি নতুন যুগের সূচনা করছে—যেখানে গত ৫০ বছরে আমরা এক ধরনের ঘনিষ্ঠতা বা কাছাকাছি আসার প্রবণতা দেখেছিলাম।’

ইউএনডিপির ‘পরবর্তী মহাবিভাজন : কেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দেশগুলোর মধ্যে বৈষম্য আরো বাড়াতে পারে’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক দশকগুলোতে বাণিজ্য, প্রযুক্তি এবং উন্নয়ন দেশগুলোর মধ্যে ব্যবধান কমাতে সহায়তা করেছে, যার ফলে আয়, স্বাস্থ্য ও শিক্ষায় বড় ধরনের অগ্রগতি হয়েছে।

তবে প্রতিবেদনে বলা হয়, এই অর্জনগুলো এখন ক্ষয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।

শেষ পর্যন্ত এআই-এর কারণে দরিদ্র দেশগুলো যদি পিছিয়ে পড়ে, তবে তার ক্ষতিকর প্রভাব ধনী দেশগুলোকেও ভোগ করতে হবে—বলেছেন শেলেকেন্স।

তিনি বলেন, ‘যদি বৈষম্য বাড়তেই থাকে, তাহলে নিরাপত্তা এজেন্ডার ক্ষেত্রে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, কিংবা অনিয়মিত অভিবাসনের মতো বিষয়গুলো আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।’

উত্তরাধুনিক

Writer, Singer & Environmentalist
জনপ্রিয়

জাতিসংঘের প্রতিবেদন: এআই উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের ব্যবধান আরো বাড়াতে পারে

আপডেট সময়: ০১:২১:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৫

ফাইল ছবি: রয়টার্স


কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে ব্যবধান আরো বাড়িয়ে দিতে পারে বলে মঙ্গলবার প্রকাশিত জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে এমন সতর্কবার্তা দিয়ে এর প্রভাব সীমিত রাখতে নীতিগত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) ওই প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে, অর্থনৈতিক সক্ষমতা, মানুষের দক্ষতা এবং শাসনব্যবস্থার দিক থেকে দেশগুলোর মধ্যে একটি সম্ভাব্য ‘বৃহৎ বিভাজন’ সৃষ্টি হতে পারে।

জেনেভায় এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে ইউএনডিপির এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় আঞ্চলিক ব্যুরোর প্রধান অর্থনীতিবিদ ফিলিপ শেলেকেন্স বলেন, ‘আমাদের ধারণা, এআই দেশগুলোর মধ্যে ক্রমবর্ধমান বৈষম্যের একটি নতুন যুগের সূচনা করছে—যেখানে গত ৫০ বছরে আমরা এক ধরনের ঘনিষ্ঠতা বা কাছাকাছি আসার প্রবণতা দেখেছিলাম।’

ইউএনডিপির ‘পরবর্তী মহাবিভাজন : কেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দেশগুলোর মধ্যে বৈষম্য আরো বাড়াতে পারে’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক দশকগুলোতে বাণিজ্য, প্রযুক্তি এবং উন্নয়ন দেশগুলোর মধ্যে ব্যবধান কমাতে সহায়তা করেছে, যার ফলে আয়, স্বাস্থ্য ও শিক্ষায় বড় ধরনের অগ্রগতি হয়েছে।

তবে প্রতিবেদনে বলা হয়, এই অর্জনগুলো এখন ক্ষয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।

শেষ পর্যন্ত এআই-এর কারণে দরিদ্র দেশগুলো যদি পিছিয়ে পড়ে, তবে তার ক্ষতিকর প্রভাব ধনী দেশগুলোকেও ভোগ করতে হবে—বলেছেন শেলেকেন্স।

তিনি বলেন, ‘যদি বৈষম্য বাড়তেই থাকে, তাহলে নিরাপত্তা এজেন্ডার ক্ষেত্রে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, কিংবা অনিয়মিত অভিবাসনের মতো বিষয়গুলো আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।’