০১:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫

পানিতে আয়রন? চুলের যত্নে করণীয় 

  • আপডেট সময়: ০১:২৯:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৫
  • 13

শহর কিংবা গ্রাম— বেশিরভাগ বাড়িতেই এখন পানির সেই স্বচ্ছ রঙ আর পাওয়া যায় না। হলদেটে পানির কারণ জগ বালতি সবকিছুতেই দাগ পড়ে। তার কারণ বেশিরভাগ জায়গাতেই পানিতে অতিরিক্ত আয়রন।

খাওয়ার পানি নাহয় ফিল্টার ব্যবহারে আয়রনমুক্ত করা যায়। কিন্তু গোসলের পানি? আয়রনযুক্ত পানিতেই করতে হয় গোসল। ফলে বারোটা বাজে চুলের। আয়রনযুক্ত পানি চুলের কিউটিকল স্তরে জমে দেখা দেয় রুক্ষতা, ভাঙন, শুষ্কতা ও চুল ঝরে পড়ার মতো সমস্যা।

চুলের উজ্জ্বলতাও কমিয়ে দেয় আয়রনযুক্ত পানি। অকালে চুলে ধূসর বা তামাটে রঙের ছোপ দেখা দেওয়ার কারণও এটি। নিয়মিত আয়রনযুক্ত পানি ব্যবহারে মাথার ত্বকেও জ্বালা, খুশকি বাড়ে। ময়লা জমাট বাঁধে। তাহলে উপায়? চলুন জেনে নিই আয়রনযুক্ত পানি থেকে চুল সুরক্ষিত রাখার উপায়-

ওয়াটার ফিল্টার 

বাথরুমে একটি শাওয়ার ফিল্টার বা ওয়াটার সফ্টনার লাগান। এতে আয়রন-সহ অতিরিক্ত মিনারেল অনেকটাই কমানো সম্ভব হবে। দীর্ঘমেয়াদি সমাধান হিসাবে এটিই সবচেয়ে কার্যকর উপায়।

কিলেটিং শ্যাম্পু 

সপ্তাহে একদিন কিলেটিং শ্যাম্পু দিয়ে চুল পরিষ্কার করুন। এতে মিনারেলের জমাট বাঁধার প্রবণতা কমবে। এই ধরনের শ্যাম্পু আয়রন ও ক্যালসিয়াম ভেঙে তুলে দেয়। তবে রোজ এমন শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন না। এতে চুল শুষ্ক হয়ে যেতে পারে।

ভিনেগার

এক বালতি পানিতে ২–৩ চামচ অ্যাপল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে নিন। শেষবার চুল ধোওয়ার সময়ে এই ভিনেগার মেশানো পানি ব্যবহার করলে মিনারেল বিল্ড-আপ কমবে। এতে চুল নরম ও উজ্জ্বল হবে। সপ্তাহে ১–২ বার এই পদ্ধতি ব্যবহার করলেই যথেষ্ট।

লেবুর রস

আয়রন জমাট বাঁধতে বাধা দেয় লেবুর রস। এক কাপ পানিতে একটি লেবুর রস মিশিয়ে চুল ধুয়ে নিন। তবে ক্ষত বা অতিরিক্ত খুশকি থাকলে এই মিশ্রণ ব্যবহার না করাই ভালো।

প্রয়োজন পুষ্টিও

আয়রনের কারণে চুল শুকিয়ে যায়। তাই সপ্তাহে অন্তত দুই দিন নারকেল তেল বা অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। অ্যাভোকাডো বা কলার মাস্ক কিউটিকল শক্ত করে। রং করা চুলে আয়রনের প্রভাব পড়ে বেশি। তাই কালার-সেফ শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।

 

উত্তরাধুনিক

Writer, Singer & Environmentalist
জনপ্রিয়

পানিতে আয়রন? চুলের যত্নে করণীয় 

আপডেট সময়: ০১:২৯:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৫

শহর কিংবা গ্রাম— বেশিরভাগ বাড়িতেই এখন পানির সেই স্বচ্ছ রঙ আর পাওয়া যায় না। হলদেটে পানির কারণ জগ বালতি সবকিছুতেই দাগ পড়ে। তার কারণ বেশিরভাগ জায়গাতেই পানিতে অতিরিক্ত আয়রন।

খাওয়ার পানি নাহয় ফিল্টার ব্যবহারে আয়রনমুক্ত করা যায়। কিন্তু গোসলের পানি? আয়রনযুক্ত পানিতেই করতে হয় গোসল। ফলে বারোটা বাজে চুলের। আয়রনযুক্ত পানি চুলের কিউটিকল স্তরে জমে দেখা দেয় রুক্ষতা, ভাঙন, শুষ্কতা ও চুল ঝরে পড়ার মতো সমস্যা।

চুলের উজ্জ্বলতাও কমিয়ে দেয় আয়রনযুক্ত পানি। অকালে চুলে ধূসর বা তামাটে রঙের ছোপ দেখা দেওয়ার কারণও এটি। নিয়মিত আয়রনযুক্ত পানি ব্যবহারে মাথার ত্বকেও জ্বালা, খুশকি বাড়ে। ময়লা জমাট বাঁধে। তাহলে উপায়? চলুন জেনে নিই আয়রনযুক্ত পানি থেকে চুল সুরক্ষিত রাখার উপায়-

ওয়াটার ফিল্টার 

বাথরুমে একটি শাওয়ার ফিল্টার বা ওয়াটার সফ্টনার লাগান। এতে আয়রন-সহ অতিরিক্ত মিনারেল অনেকটাই কমানো সম্ভব হবে। দীর্ঘমেয়াদি সমাধান হিসাবে এটিই সবচেয়ে কার্যকর উপায়।

কিলেটিং শ্যাম্পু 

সপ্তাহে একদিন কিলেটিং শ্যাম্পু দিয়ে চুল পরিষ্কার করুন। এতে মিনারেলের জমাট বাঁধার প্রবণতা কমবে। এই ধরনের শ্যাম্পু আয়রন ও ক্যালসিয়াম ভেঙে তুলে দেয়। তবে রোজ এমন শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন না। এতে চুল শুষ্ক হয়ে যেতে পারে।

ভিনেগার

এক বালতি পানিতে ২–৩ চামচ অ্যাপল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে নিন। শেষবার চুল ধোওয়ার সময়ে এই ভিনেগার মেশানো পানি ব্যবহার করলে মিনারেল বিল্ড-আপ কমবে। এতে চুল নরম ও উজ্জ্বল হবে। সপ্তাহে ১–২ বার এই পদ্ধতি ব্যবহার করলেই যথেষ্ট।

লেবুর রস

আয়রন জমাট বাঁধতে বাধা দেয় লেবুর রস। এক কাপ পানিতে একটি লেবুর রস মিশিয়ে চুল ধুয়ে নিন। তবে ক্ষত বা অতিরিক্ত খুশকি থাকলে এই মিশ্রণ ব্যবহার না করাই ভালো।

প্রয়োজন পুষ্টিও

আয়রনের কারণে চুল শুকিয়ে যায়। তাই সপ্তাহে অন্তত দুই দিন নারকেল তেল বা অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। অ্যাভোকাডো বা কলার মাস্ক কিউটিকল শক্ত করে। রং করা চুলে আয়রনের প্রভাব পড়ে বেশি। তাই কালার-সেফ শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।