
অবশেষে বেরিয়ে এলো ইসরায়েলের থলের বেড়াল। ফিলিস্তিনে চালানো বর্বর গণহত্যার খবর ধামাচাপা দিতে ইসরায়েল ব্যয় করছে ৬২০ মিলিয়ন ডলার!
দখলদার দেশটির বিতর্কিত পার্লামেন্ট নেসেটের অধিবেশন চলাকালীন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু এ কথা বলেছেন।খবর ইয়েনিসাফাকের।
তিনি বলেছেন, ইসরায়েলের সরকার গণহত্যা সম্পর্কে ‘প্রচারণা’ মোকাবেলায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ২ বিলিয়ন শেকেলেরও বেশি (৬২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার)) বরাদ্দ করেছে।
তিনি সংসদে ইসরায়েলের আন্তর্জাতিক অবস্থান এবং রাশিয়ার সঙ্গে চলমান সংলাপের কথাও উল্লেখ করেছেন।
নেসেটে নেতানিয়াহু বলেন, গাজায় সামরিক অভিযানের (গণহত্যা) আন্তর্জাতিক সমালোচনা মোকাবেলায় তার সরকার যথেষ্ট তহবিল বরাদ্দ করেছে, এটিকে প্রচারণার বিরুদ্ধে লড়াই হিসাবে উপস্থাপন করেন তিনি।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) ইসরায়েলের ক্রমহ্রাসমান বৈশ্বিক অবস্থান নিয়ে বিতর্কের জন্য বিরোধীদের আহ্বান করা নেসেট অধিবেশনে নেতানিয়াহু জোর দিয়ে বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধিনে ২ বিলিয়ন শেকেলেরও বেশি (প্রায় ৬২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) বরাদ্দ করা হয়েছে।
নেতানিয়াহু জোরালোভাবে তার প্রশাসনের নীতিগুলিকে সমর্থন করে যুক্তি দিয়েছেন যে, ইসরায়েল “আগের চেয়েও শক্তিশালী” এবং কেবল মধ্যপ্রাচ্যের নয়, বরং একটি বিশ্বশক্তিতে পরিণত হয়েছে।
তিনি ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজা, লেবানন, সিরিয়া, ইয়েমেন এবং ইরানের বিরুদ্ধে ব্যাপক সামরিক অভিযান পরিচালনার সাহসী সিদ্ধান্ত এবং বিশ্বব্যাপী ইহুদি-বিদ্বেষের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা উল্লেখ করেছেন।
তার এই বক্তব্যে পুরো অধিবেশন জুড়ে তিনি বিরোধী দলের আইন প্রণেতাদের কাছ থেকে প্রচণ্ড বাধা এবং প্রতিবাদের সম্মুখীন হয়েছে।
বিরোধীরা “ইসরায়েলের আন্তর্জাতিক মর্যাদার পতন” শিরোনামে অধিবেশনটির নামকরণ করেছিল, যা যুদ্ধের কূটনৈতিক পরিণতি নিয়ে গভীর অভ্যন্তরীণ বিভাজনের প্রতিফলন ঘটায়।
আরও পড়ুন:
ইইউর কথায় রাশিয়ার সম্পদ জব্দ করবো না: জাপান
নেতানিয়াহু বিরোধী সদস্যদের “বাস্তবতা থেকে বিচ্ছিন্ন” এবং খালি স্লোগানের ওপর নির্ভর করার অভিযোগ করেছিলেন। এক পর্যায়ে, আইন প্রণেতারা “ইউরোপে তোমাদের খোঁজা হচ্ছে” বলে চিৎকার করে উঠেন।
তারা গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানার কথাও উল্লেখ করেন।
নেতানিয়াহু ইসরায়েলের কৌশলগত কূটনৈতিক ব্যস্ততার কথা উল্লেখ করে বলেন, ডিসেম্বরের শেষের দিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে নির্ধারিত আলোচনার কথা রয়েছে।
এছাড়া রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গেও “নিয়মিত যোগাযোগ” রাখছেন বলে জানান ইসরায়েলের যুদ্ধবাজ এ প্রধানমন্ত্রী।






















