
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো লোগো। ছবি: সংগৃহীত
বর্তমান সময়ে মুঠোফোন ব্যবহার না করেন এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া খুবই কঠিন। তবু এখনো সমাজের একটি অংশ মুঠোফোন ব্যবহার করে না। বর্তমানে দেশের প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ৮১ জন, অর্থাৎ ৮১ শতাংশ মানুষ মুঠোফোন ব্যবহার করেন। তবে মুঠোফোন ব্যবহার করলেও সবার নিজস্ব মুঠোফোন নেই। নিজের মুঠোফোন আছে এমন মানুষের হার ৫৭ শতাংশ।
গত দেড় দশকেরও বেশি সময়ে ইন্টারনেট ও স্মার্টফোনভিত্তিক সেবার বিস্তার ঘটলেও দেশে ব্যক্তিপর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহার এখনো অনেক কম। ৪৯ শতাংশ মানুষ নিজে ব্যক্তিগতভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন। অর্থাৎ দেশের প্রায় অর্ধেক মানুষ এখনো ইন্টারনেট সুবিধার বাইরে রয়েছেন।
সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এর করা সর্বশেষ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রয়োগ ও ব্যবহার জরিপে এই তথ্য উঠে এসেছে। সংস্থাটি প্রতি তিন মাস অন্তর এ ধরনের জরিপ করে। সর্বশেষ জরিপটি করা হয়েছে চলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এতে ৬১,৬৩২টি পরিবার থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। তথ্য নেওয়া হয়েছে পাঁচ বছর বা তার বেশি বয়সী নাগরিকদের থেকে।
আরো পড়ুন: বিবিএস-এর জরিপ: সরকারি সেবায় ৩১.৬৭ শতাংশ নাগরিক দুর্নীতির শিকার
বিবিএসের সর্বশেষ জনশুমারি অনুযায়ী, দেশের জনসংখ্যা বর্তমানে ১৬ কোটি ৯৮ লাখ। এ হিসেবে বর্তমানে প্রায় ১৩ কোটি ৬৯ লাখ মানুষ মুঠোফোন ব্যবহার করছেন। মুঠোফোনের মালিকানা রয়েছে ৯ কোটি ৫৯ লাখ মানুষের, আর ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন ৮ কোটি ৩০ লাখের বেশি মানুষ।
জরিপে দেখা গেছে, মুঠোফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষের সংখ্যা প্রায় কাছাকাছি। পুরুষের ক্ষেত্রে হার ৮১ শতাংশ, নারীদের ক্ষেত্রে ৭৯ শতাংশ। তবে মুঠোফোনের মালিকানায় নারীরা পুরুষের তুলনায় পিছিয়ে আছেন। বর্তমানে ৬৩ শতাংশ পুরুষের নিজের অন্তত একটি মুঠোফোন আছে, যেখানে নারীদের ক্ষেত্রে এই হার ৫৩ শতাংশ। ইন্টারনেট ব্যবহারের দিক থেকেও নারীরা পিছিয়ে আছেন। পুরুষদের মধ্যে ৫১ শতাংশ বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন, আর নারীদের হার ৪৬ শতাংশের কিছু বেশি।
দেশে ইন্টারনেট ব্যবহার দিন দিন বেড়েছে, তবে সাধারণ মুঠোফোনের মালিকানা কিছুটা কমেছে। ২০২২ সালে দেশের ৬১.৮ শতাংশ মানুষের নিজস্ব মুঠোফোন ছিল। ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরে এসে সেই হার কমে ৫৭ শতাংশ হয়েছে। অন্যদিকে, ২০২২ সালে দেশের ৩৮.৯ শতাংশ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করতেন। তিন বছরে এই হার বেড়ে ৪৮.৯ শতাংশ হয়েছে।
আরো পড়ুন: দেশে বেকারদের সাড়ে ১৩ শতাংশ স্নাতক ডিগ্রিধারী
উপরের তথ্যগুলো মূলত ব্যক্তিপর্যায়ে মুঠোফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহার এবং মুঠোফোনের মালিকানার ওপর ভিত্তি করে। পাশাপাশি বিবিএসের জরিপে অবস্থানভেদে পরিবারের হারের ভিত্তিতে রেডিও, টেলিভিশন, কম্পিউটার, মুঠোফোন, স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহারের তথ্যও তুলে ধরা হয়েছে।
























