
প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রধান মুহাম্মদ ইউনূসের উপস্থিতিতে গত শুক্রবার জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করেন রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিরা।
বাংলাদেশের জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষরকে স্বাগত জানিয়েছে কানাডা। দেশটির হাইকমিশনার বলেন, ‘সনদ বাস্তবায়নের জন্য মূল গণতান্ত্রিক সংস্কারের রূপরেখা নির্ধারণ করেছে।’
কানাডার হাইকমিশনের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার অজিত সিং এ কথা বলেন।
কানাডা বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক রূপান্তরের প্রতি সমর্থন পুনঃপ্রকাশ করে হাইকমিশনার বলেন, জুলাই জাতীয় সনদ বাংলাদেশের রাজনৈতিক ঐক্য ও স্বচ্ছ শাসনের দিকনির্দেশক হবে।
কানাডা বলেছে, বাংলাদেশ শান্তিপূর্ণভাবে গণতান্ত্রিক রূপান্তরের দিকে এগোচ্ছে এবং কানাডা বাংলাদেশের পাশে রয়েছে। নির্বাচনের মাধ্যমে স্বাধীন, ন্যায়পরায়ণ, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং অংশগ্রহণমূলক প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা হবে।
হাইকমিশনের তথ্যমতে, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের জন্য মূল গণতান্ত্রিক সংস্কারের রূপরেখা নির্ধারণ করেছে। এটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বের মধ্যে জাতীয় ঐক্য, জবাবদিহিতা এবং স্বচ্ছ প্রশাসন অগ্রসর করার যৌথ অঙ্গীকার নির্দেশ করে।
জাতীয় সনদ স্বাক্ষরের পর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছিলেন, ‘জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর দেশের ঐক্যের প্রতীক। এটি জাতিকে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের দিকে পরিচালিত করবে।’
তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, আগামী ফেব্রুয়ারিতে একটি উৎসবমুখর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, যা রাজনৈতিক অংশীদারদের মধ্যে বিদ্যমান সমন্বয় অক্ষুণ্ণ রাখবে।
কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকরা এই উদ্যোগকে বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক রূপান্তরে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে দেখছেন। তারা বলছেন, অংশগ্রহণমূলক প্রক্রিয়া এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা জনসাধারণের আস্থা বৃদ্ধি করবে এবং দেশের স্থায়ী স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে।
কানাডা দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের স্থায়ী উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে কাজ করছে। শাসন, শিক্ষা, লিঙ্গ সমতা এবং মানবাধিকারের খাতগুলোতে সহযোগিতার মাধ্যমে দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং সুশাসনের উদ্যোগগুলোকে সমর্থন করছে। হাইকমিশনের এই সমর্থন পুনঃপ্রকাশই সেই ধারাবাহিকতার অংশ।
























