০৫:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫

ইসলামাবাদের হুঁশিয়ারি: ‘তালেবানকে ফের গুহায় পাঠাতে পাকিস্তানের সামান্য শক্তিই যথেষ্ট’

  • আপডেট সময়: ০৪:৪২:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫
  • 12

খাজা আসিফ। ছবি: রয়টার্স


পাকিস্তান ও আফগানিস্তান প্রতিনিধিদলের মধ্যে ইস্তাম্বুলে কয়েক দিনের আলোচনা কোনো অগ্রগতি ছাড়াই শেষ হওয়ার পর বুধবার আফগান তালেবান সরকারকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ।

এক্সে দেওয়া এক পোস্টে প্রতিরক্ষামন্ত্রী মন্তব্য করেন, শান্তির একটি সুযোগ দেওয়ার প্রয়াসে ভ্রাতৃপ্রতিম দেশগুলোর অনুরোধে পাকিস্তান আলোচনায় অংশ নিয়েছিল। কিন্তু আফগান কর্মকর্তাদের ‘বিষাক্ত বিবৃতি’ স্পষ্টতই তালেবান শাসনের ‘ধূর্ত এবং বিভেদপূর্ণ’ মানসিকতাকে প্রতিফলিত করে।

আসিফ তার এক্স পোস্টে লেখেন, ‘আমরা তোমাদের বিশ্বাসঘাতকতা এবং উপহাস দীর্ঘদিন ধরে সহ্য করেছি, কিন্তু আর নয়।

পাকিস্তানের অভ্যন্তরে যেকোনো সন্ত্রাসী হামলা বা আত্মঘাতী বোমা হামলা তোমাদের এই ধরনের দুঃসাহসিকতার তিক্ত স্বাদ দেবে। তোমরা যদি চাও তবে আমাদের সংকল্প এবং সক্ষমতা পরীক্ষা করে দেখতে পারো, কিন্তু তোমাদের এই পদক্ষেপ তোমাদের বিপদের দিকে ঠেলে দেবে।’

আসিফ আরো বলেন, ‘আমি তাদের আশ্বস্ত করতে চাই, তালেবান শাসনকে সম্পূর্ণরূপে মুছে দিতে এবং তাদের আবার লুকিয়ে থাকার জন্য গুহায় ঠেলে দিতে পাকিস্তানের তার সম্পূর্ণ অস্ত্রাগারের সামান্য অংশও ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই। তারা যদি চায়, তবে লেজ গুটিয়ে তোরা বোরাতে তাদের পরাজিত হওয়ার দৃশ্য এই অঞ্চলের মানুষের জন্য আবারও দেখার মতো এক প্রদর্শনী হবে।’


https://x.com/KhawajaMAsif/status/1983426574272868408?ref_src=twsrc%5Etfw%7Ctwcamp%5Etweetembed%7Ctwterm%5E1983426574272868408%7Ctwgr%5E%7Ctwcon%5Es1_c10&ref_url=


আসিফের এই বিবৃতিটি এমন এক সময়ে এলো, যখন বুধবার ভোরে দেশটির তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার নিশ্চিত করেন, পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বারবার প্রমাণ-ভিত্তিক সন্ত্রাসবিরোধী দাবি পেশ করা সত্ত্বেও আফগান তালেবানের সঙ্গে ইস্তাম্বুলে চার দিনের আলোচনা কোনো অগ্রগতি ছাড়াই শেষ হয়েছে।

চার দিনের অধিবেশন শেষ হওয়ার পর তারার এক্সে বলেন, ‘সংক্ষেপে, এই আলোচনা কোনো কার্যকর সমাধান আনতে ব্যর্থ হয়েছে।’ তিনি আরো বলেন, পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে দেশে হামলা চালানো জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কাবুলের সহযোগিতা চেয়েছে।

তারার ‘সন্ত্রাস সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য সমর্থন ও আন্তরিক প্রচেষ্টার’ জন্য কাতার, তুরস্ক ও অন্যান্য বন্ধুপ্রতিম দেশগুলোর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী তালেবান শাসনকে অভিযুক্ত করে আরো বলেন, তারা কেবল তাদের দখলকৃত শাসন ধরে রাখতে এবং তাদের টিকিয়ে রাখা যুদ্ধ অর্থনীতি বজায় রাখতে অন্ধভাবে আফগানিস্তানকে আরো একটি সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, ‘তাদের সহজাত সীমাবদ্ধতা এবং তাদের যুদ্ধ-ধ্বনির অন্তঃসারশূন্যতা পুরোপুরি জানা সত্ত্বেও, তারা তাদের ভেঙে পড়া মুখোশ ধরে রাখতে যুদ্ধের দামামা বাজাচ্ছে। আফগান তালেবান শাসন যদি উন্মত্তের মতো আফগানিস্তান এবং এর নিরীহ মানুষকে ধ্বংস করার জন্য বদ্ধপরিকর হয়, তবে তাই হোক।’

প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরো হুঁশিয়ারি দেন, তালেবান সরকার—‘যারা এই অঞ্চলে অস্থিরতা বজায় থাকার মধ্যে ব্যক্তিগত স্বার্থ দেখে’—তাদের বোঝা উচিত যে তারা ‘সম্ভবত [পাকিস্তানের] সংকল্প এবং সাহসকে ভুলভাবে বিচার করেছে।’

আসিফ আরো বলেন, ‘যদি তালেবান সরকার আমাদের সঙ্গে লড়াই করতে চায়, তবে বিশ্ব ইনশাআল্লাহ দেখতে পাবে যে তাদের হুমকিগুলো কেবল একটি লোকদেখানো সার্কাস মাত্র।’

সূত্র : জিও টিভি

উত্তরাধুনিক

Writer, Singer & Environmentalist

ভ্যাঙ্কি আংটি: ঐশ্বরিয়ার হাতের এই আংটি কখনও খোলেন না, জানেন এর পেছনের গল্প?

ইসলামাবাদের হুঁশিয়ারি: ‘তালেবানকে ফের গুহায় পাঠাতে পাকিস্তানের সামান্য শক্তিই যথেষ্ট’

আপডেট সময়: ০৪:৪২:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫

খাজা আসিফ। ছবি: রয়টার্স


পাকিস্তান ও আফগানিস্তান প্রতিনিধিদলের মধ্যে ইস্তাম্বুলে কয়েক দিনের আলোচনা কোনো অগ্রগতি ছাড়াই শেষ হওয়ার পর বুধবার আফগান তালেবান সরকারকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ।

এক্সে দেওয়া এক পোস্টে প্রতিরক্ষামন্ত্রী মন্তব্য করেন, শান্তির একটি সুযোগ দেওয়ার প্রয়াসে ভ্রাতৃপ্রতিম দেশগুলোর অনুরোধে পাকিস্তান আলোচনায় অংশ নিয়েছিল। কিন্তু আফগান কর্মকর্তাদের ‘বিষাক্ত বিবৃতি’ স্পষ্টতই তালেবান শাসনের ‘ধূর্ত এবং বিভেদপূর্ণ’ মানসিকতাকে প্রতিফলিত করে।

আসিফ তার এক্স পোস্টে লেখেন, ‘আমরা তোমাদের বিশ্বাসঘাতকতা এবং উপহাস দীর্ঘদিন ধরে সহ্য করেছি, কিন্তু আর নয়।

পাকিস্তানের অভ্যন্তরে যেকোনো সন্ত্রাসী হামলা বা আত্মঘাতী বোমা হামলা তোমাদের এই ধরনের দুঃসাহসিকতার তিক্ত স্বাদ দেবে। তোমরা যদি চাও তবে আমাদের সংকল্প এবং সক্ষমতা পরীক্ষা করে দেখতে পারো, কিন্তু তোমাদের এই পদক্ষেপ তোমাদের বিপদের দিকে ঠেলে দেবে।’

আসিফ আরো বলেন, ‘আমি তাদের আশ্বস্ত করতে চাই, তালেবান শাসনকে সম্পূর্ণরূপে মুছে দিতে এবং তাদের আবার লুকিয়ে থাকার জন্য গুহায় ঠেলে দিতে পাকিস্তানের তার সম্পূর্ণ অস্ত্রাগারের সামান্য অংশও ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই। তারা যদি চায়, তবে লেজ গুটিয়ে তোরা বোরাতে তাদের পরাজিত হওয়ার দৃশ্য এই অঞ্চলের মানুষের জন্য আবারও দেখার মতো এক প্রদর্শনী হবে।’


https://x.com/KhawajaMAsif/status/1983426574272868408?ref_src=twsrc%5Etfw%7Ctwcamp%5Etweetembed%7Ctwterm%5E1983426574272868408%7Ctwgr%5E%7Ctwcon%5Es1_c10&ref_url=


আসিফের এই বিবৃতিটি এমন এক সময়ে এলো, যখন বুধবার ভোরে দেশটির তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার নিশ্চিত করেন, পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বারবার প্রমাণ-ভিত্তিক সন্ত্রাসবিরোধী দাবি পেশ করা সত্ত্বেও আফগান তালেবানের সঙ্গে ইস্তাম্বুলে চার দিনের আলোচনা কোনো অগ্রগতি ছাড়াই শেষ হয়েছে।

চার দিনের অধিবেশন শেষ হওয়ার পর তারার এক্সে বলেন, ‘সংক্ষেপে, এই আলোচনা কোনো কার্যকর সমাধান আনতে ব্যর্থ হয়েছে।’ তিনি আরো বলেন, পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে দেশে হামলা চালানো জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কাবুলের সহযোগিতা চেয়েছে।

তারার ‘সন্ত্রাস সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য সমর্থন ও আন্তরিক প্রচেষ্টার’ জন্য কাতার, তুরস্ক ও অন্যান্য বন্ধুপ্রতিম দেশগুলোর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী তালেবান শাসনকে অভিযুক্ত করে আরো বলেন, তারা কেবল তাদের দখলকৃত শাসন ধরে রাখতে এবং তাদের টিকিয়ে রাখা যুদ্ধ অর্থনীতি বজায় রাখতে অন্ধভাবে আফগানিস্তানকে আরো একটি সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, ‘তাদের সহজাত সীমাবদ্ধতা এবং তাদের যুদ্ধ-ধ্বনির অন্তঃসারশূন্যতা পুরোপুরি জানা সত্ত্বেও, তারা তাদের ভেঙে পড়া মুখোশ ধরে রাখতে যুদ্ধের দামামা বাজাচ্ছে। আফগান তালেবান শাসন যদি উন্মত্তের মতো আফগানিস্তান এবং এর নিরীহ মানুষকে ধ্বংস করার জন্য বদ্ধপরিকর হয়, তবে তাই হোক।’

প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরো হুঁশিয়ারি দেন, তালেবান সরকার—‘যারা এই অঞ্চলে অস্থিরতা বজায় থাকার মধ্যে ব্যক্তিগত স্বার্থ দেখে’—তাদের বোঝা উচিত যে তারা ‘সম্ভবত [পাকিস্তানের] সংকল্প এবং সাহসকে ভুলভাবে বিচার করেছে।’

আসিফ আরো বলেন, ‘যদি তালেবান সরকার আমাদের সঙ্গে লড়াই করতে চায়, তবে বিশ্ব ইনশাআল্লাহ দেখতে পাবে যে তাদের হুমকিগুলো কেবল একটি লোকদেখানো সার্কাস মাত্র।’

সূত্র : জিও টিভি