১২:৪২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫

‘কালমায়েগির’ পর ফিলিপাইনের দিকে ধেয়ে যাচ্ছে টাইফুন ‘ফাং-ওয়ং’

  • আপডেট সময়: ০১:৪২:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫
  • 5

প্রাকৃতিক বিপর্যয় যেন পিছু ছাড়ছে না দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ফিলিপাইনের। শক্তিশালী টাইফুন কালমায়েগির ঘূর্ণিঝড় কালমেগির ধ্বংসের রেস কাটতে না কাটতে দেশটির দিকে ধেয়ে আসছে আরেক শক্তিশালী ঘূণিঝড় ‘ফাং-ওয়ং’। দেশের পূর্ব উপকূলে আগামীকাল রোববার রাতে স্থলভাগে আঘাত হানার আগে ঘূর্ণিঝড়টি সুপার টাইফুনে পরিণত হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে ফিলিপাইনের আবহাওয়া দফতর।

শনিবার ফিলিপাইনের আবহাওয়া দফতরের (পিএজিএএসএ) আবহাওয়াবিদ বেনিসন এস্তারেজা এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফাং-ওয়ং এক হাজার ৫০০ কিলোমিটার (৯৩২ মাইল) এলাকাজুড়ে বিস্তৃত হবে। এর প্রভাবে ইতোমধ্যেই ফিলিপাইনের পূর্বাঞ্চলের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে ভারি বৃষ্টিপাত ও ঝড়ো হওয়া বইছে।

তিনি আরও জানান, স্থানীয়ভাবে উওয়ান নামে পরিচিত ফুং-ওং প্রায় পুরো দেশজুড়ে প্রভাব ফেলতে পারে। বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়টি কেন্দ্রে ১৪০ কিলোমিটার থেকে সর্বোচ্চ ১৭০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইছে এবং ভূমির কাছাকাছি আসার সঙ্গে সঙ্গে এটি ১৮৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় বেগে পৌঁছাতে পারে, যা ঘরবাড়ি ধ্বংস, গাছপালা এবং কাঠামো উপড়ে ফেলার মতো শক্তিশালী হবে। এ সময় পাঁচ মিটার পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস এবং ধ্বংসাত্মক ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

পিএজিএএসএ এক সকর্তবার্তায় বলছে, পূর্ব ফিলিপাইনের প্রদেশগুলোতে, বিশেষ করে বিকোল অঞ্চলের পাশাপাশি সামারের কিছু অংশে ২০০ মিমি পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে, যা ব্যাপক বন্যা এবং ভূমিধসের ঝুঁকি বাড়িয়েছে। এছাড়াও নিম্নাঞ্চলীয় এবং উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের উঁচু ভূমিতে সরে যেতে এবং সমস্ত সামুদ্রিক কার্যকলাপ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে পিএজিএএসএ।

অন্যদিকে সোমবার পর্যন্ত বেশ কয়েকটি অঞ্চলের স্থানীয় সরকার স্কুল বন্ধ ঘোষণা করেছে এবং ফিলিপাইনের রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা বেশকয়েকটি ফ্লাইট বাতিল করেছে।

এরআগে গত সপ্তাহে আঘাত হানা কালমেয়েগির তাণ্ডবে ফিলিপাইনে ২০৪ জন এবং ভিয়েতনামে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এছাড়াও কয়েক লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন এবং বিস্তীর্ণ এলাকা এখনো বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে।

ফিলিপাইনের সরকার বলছে ঝড়ের প্রভাবে প্রায় ৮ লাখ মানুষকে তাদের বাড়ি থেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। ফলে ব্যাপক হতাহত এড়ানো সম্ভব হয়েছে।

উল্লেখ্য, ফিলিপাইন প্রতি বছরে গড়ে প্রায় ২০টি ঝড় ও ঘূর্ণিঝড়ের মুখোমুখি হয়। চলতি বছর সুপার টাইফুন রাগাসা এবং টাইফুন বুয়ালই মতো ঘূর্ণিঝড়গুলো দেশটিতে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায়।

সূত্র: রয়টার্স

উত্তরাধুনিক

Writer, Singer & Environmentalist

ভ্যাঙ্কি আংটি: ঐশ্বরিয়ার হাতের এই আংটি কখনও খোলেন না, জানেন এর পেছনের গল্প?

‘কালমায়েগির’ পর ফিলিপাইনের দিকে ধেয়ে যাচ্ছে টাইফুন ‘ফাং-ওয়ং’

আপডেট সময়: ০১:৪২:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫

প্রাকৃতিক বিপর্যয় যেন পিছু ছাড়ছে না দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ফিলিপাইনের। শক্তিশালী টাইফুন কালমায়েগির ঘূর্ণিঝড় কালমেগির ধ্বংসের রেস কাটতে না কাটতে দেশটির দিকে ধেয়ে আসছে আরেক শক্তিশালী ঘূণিঝড় ‘ফাং-ওয়ং’। দেশের পূর্ব উপকূলে আগামীকাল রোববার রাতে স্থলভাগে আঘাত হানার আগে ঘূর্ণিঝড়টি সুপার টাইফুনে পরিণত হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে ফিলিপাইনের আবহাওয়া দফতর।

শনিবার ফিলিপাইনের আবহাওয়া দফতরের (পিএজিএএসএ) আবহাওয়াবিদ বেনিসন এস্তারেজা এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফাং-ওয়ং এক হাজার ৫০০ কিলোমিটার (৯৩২ মাইল) এলাকাজুড়ে বিস্তৃত হবে। এর প্রভাবে ইতোমধ্যেই ফিলিপাইনের পূর্বাঞ্চলের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে ভারি বৃষ্টিপাত ও ঝড়ো হওয়া বইছে।

তিনি আরও জানান, স্থানীয়ভাবে উওয়ান নামে পরিচিত ফুং-ওং প্রায় পুরো দেশজুড়ে প্রভাব ফেলতে পারে। বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়টি কেন্দ্রে ১৪০ কিলোমিটার থেকে সর্বোচ্চ ১৭০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইছে এবং ভূমির কাছাকাছি আসার সঙ্গে সঙ্গে এটি ১৮৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় বেগে পৌঁছাতে পারে, যা ঘরবাড়ি ধ্বংস, গাছপালা এবং কাঠামো উপড়ে ফেলার মতো শক্তিশালী হবে। এ সময় পাঁচ মিটার পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস এবং ধ্বংসাত্মক ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

পিএজিএএসএ এক সকর্তবার্তায় বলছে, পূর্ব ফিলিপাইনের প্রদেশগুলোতে, বিশেষ করে বিকোল অঞ্চলের পাশাপাশি সামারের কিছু অংশে ২০০ মিমি পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে, যা ব্যাপক বন্যা এবং ভূমিধসের ঝুঁকি বাড়িয়েছে। এছাড়াও নিম্নাঞ্চলীয় এবং উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের উঁচু ভূমিতে সরে যেতে এবং সমস্ত সামুদ্রিক কার্যকলাপ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে পিএজিএএসএ।

অন্যদিকে সোমবার পর্যন্ত বেশ কয়েকটি অঞ্চলের স্থানীয় সরকার স্কুল বন্ধ ঘোষণা করেছে এবং ফিলিপাইনের রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা বেশকয়েকটি ফ্লাইট বাতিল করেছে।

এরআগে গত সপ্তাহে আঘাত হানা কালমেয়েগির তাণ্ডবে ফিলিপাইনে ২০৪ জন এবং ভিয়েতনামে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এছাড়াও কয়েক লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন এবং বিস্তীর্ণ এলাকা এখনো বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে।

ফিলিপাইনের সরকার বলছে ঝড়ের প্রভাবে প্রায় ৮ লাখ মানুষকে তাদের বাড়ি থেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। ফলে ব্যাপক হতাহত এড়ানো সম্ভব হয়েছে।

উল্লেখ্য, ফিলিপাইন প্রতি বছরে গড়ে প্রায় ২০টি ঝড় ও ঘূর্ণিঝড়ের মুখোমুখি হয়। চলতি বছর সুপার টাইফুন রাগাসা এবং টাইফুন বুয়ালই মতো ঘূর্ণিঝড়গুলো দেশটিতে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায়।

সূত্র: রয়টার্স