০৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫

ইলেকটিভ ভেন্টিলেটর সাপোর্টে খালেদা জিয়া

  • আপডেট সময়: ০৯:২৭:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫
  • 5

বেগম খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি


বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে বলে জানিয়েছে তাঁর চিকিৎসায় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড। বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গাইডলাইন মেনে তাঁর সব চিকিৎসা চলছে। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাঁর ফুসফুস ও অন্যান্য অর্গানকে বিশ্রাম দেওয়ার জন্য ইলেকটিভ ভেন্টিলেটর সাপোর্টে নেওয়া হয় এবং কিডনির কার্যক্ষমতা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসনের ডায়ালিসিস চলছে।

বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের মেডিক্যাল বোর্ডের পক্ষ থেকে অধ্যাপক ডা. শাহাবউদ্দিন তালুকদার সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৭৯ বছর বয়সী বেগম জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার, কিডনি, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, আর্থ্রাইটিসসহ নানা জটিল রোগে ভুগলেও সাম্প্রতিক সময়ে বাসায় অবস্থানকালে তাঁর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটে। শ্বাসকষ্ট, কাশি, জ্বর ও অতিরিক্ত দুর্বলতা দেখা দিলে ২৩ নভেম্বর তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তি-পরবর্তী পরীক্ষার পর প্রাথমিকভাবে কেবিন থেকে তাঁকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়।

মেডিক্যাল বোর্ড জানিয়েছে, পরে তাঁকে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে নেওয়া হয়, যাতে ফুসফুসসহ অবশিষ্ট অঙ্গগুলোকে বিশ্রাম দেওয়া যায়।

এ অবস্থায় তাঁর শরীরে ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকজনিত গুরুতর সংক্রমণও শনাক্ত হয়, যার চিকিৎসায় উন্নত অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে।

বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়, খালেদা জিয়ার কিডনির কার্যক্ষমতা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নিয়মিত ডায়ালিসিস চলছে। একই সঙ্গে পরিপাকতন্ত্রে রক্তক্ষরণ এবং ‘ডিআইসি’-এর কারণে তাঁকে রক্ত ও রক্তজাত উপাদান দিতে হচ্ছে। নিয়মিত ইকোকার্ডিওগ্রাফিতে হৃদযন্ত্রের মহাধমনির ভালভে সমস্যা ধরা পড়ায় ‘টিইই’ পরীক্ষা করা হয়, যেখানে সংক্রমণজনিত ভালভ প্রদাহ শনাক্ত হয়।

আন্তর্জাতিক গাইডলাইন অনুযায়ী এই জটিলতার চিকিৎসাও শুরু করা হয়েছে। দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড বেগম জিয়ার সার্বিক অবস্থা নিয়মিত মূল্যায়ন করছে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত মর্যাদা ও গোপনীয়তা বজায় রেখে সর্বোচ্চ সতর্কতা ও পেশাদারির ভিত্তিতে তাঁর চিকিৎসা চলছে এবং কোনো অনুমান বা ভুল তথ্য প্রচার না করার অনুরোধ জানিয়েছে মেডিক্যাল বোর্ড।

বৃহস্পতিবার বিকেলে বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে তাঁর পুত্রবধূ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমান এভারকেয়ার হাসপাতালে যান।

এদিকে নিজ এলাকা ঢাকা-৮-এ নির্বাচনি প্রচার চালানোর সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, আজ আমরা জেনেছি, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অবস্থা একটু ভালোর দিকে।

উত্তরাধুনিক

Writer, Singer & Environmentalist
জনপ্রিয়

ইলেকটিভ ভেন্টিলেটর সাপোর্টে খালেদা জিয়া

আপডেট সময়: ০৯:২৭:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫

বেগম খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি


বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে বলে জানিয়েছে তাঁর চিকিৎসায় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড। বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গাইডলাইন মেনে তাঁর সব চিকিৎসা চলছে। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাঁর ফুসফুস ও অন্যান্য অর্গানকে বিশ্রাম দেওয়ার জন্য ইলেকটিভ ভেন্টিলেটর সাপোর্টে নেওয়া হয় এবং কিডনির কার্যক্ষমতা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসনের ডায়ালিসিস চলছে।

বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের মেডিক্যাল বোর্ডের পক্ষ থেকে অধ্যাপক ডা. শাহাবউদ্দিন তালুকদার সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৭৯ বছর বয়সী বেগম জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার, কিডনি, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, আর্থ্রাইটিসসহ নানা জটিল রোগে ভুগলেও সাম্প্রতিক সময়ে বাসায় অবস্থানকালে তাঁর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটে। শ্বাসকষ্ট, কাশি, জ্বর ও অতিরিক্ত দুর্বলতা দেখা দিলে ২৩ নভেম্বর তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তি-পরবর্তী পরীক্ষার পর প্রাথমিকভাবে কেবিন থেকে তাঁকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়।

মেডিক্যাল বোর্ড জানিয়েছে, পরে তাঁকে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে নেওয়া হয়, যাতে ফুসফুসসহ অবশিষ্ট অঙ্গগুলোকে বিশ্রাম দেওয়া যায়।

এ অবস্থায় তাঁর শরীরে ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকজনিত গুরুতর সংক্রমণও শনাক্ত হয়, যার চিকিৎসায় উন্নত অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে।

বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়, খালেদা জিয়ার কিডনির কার্যক্ষমতা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নিয়মিত ডায়ালিসিস চলছে। একই সঙ্গে পরিপাকতন্ত্রে রক্তক্ষরণ এবং ‘ডিআইসি’-এর কারণে তাঁকে রক্ত ও রক্তজাত উপাদান দিতে হচ্ছে। নিয়মিত ইকোকার্ডিওগ্রাফিতে হৃদযন্ত্রের মহাধমনির ভালভে সমস্যা ধরা পড়ায় ‘টিইই’ পরীক্ষা করা হয়, যেখানে সংক্রমণজনিত ভালভ প্রদাহ শনাক্ত হয়।

আন্তর্জাতিক গাইডলাইন অনুযায়ী এই জটিলতার চিকিৎসাও শুরু করা হয়েছে। দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড বেগম জিয়ার সার্বিক অবস্থা নিয়মিত মূল্যায়ন করছে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত মর্যাদা ও গোপনীয়তা বজায় রেখে সর্বোচ্চ সতর্কতা ও পেশাদারির ভিত্তিতে তাঁর চিকিৎসা চলছে এবং কোনো অনুমান বা ভুল তথ্য প্রচার না করার অনুরোধ জানিয়েছে মেডিক্যাল বোর্ড।

বৃহস্পতিবার বিকেলে বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে তাঁর পুত্রবধূ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমান এভারকেয়ার হাসপাতালে যান।

এদিকে নিজ এলাকা ঢাকা-৮-এ নির্বাচনি প্রচার চালানোর সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, আজ আমরা জেনেছি, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অবস্থা একটু ভালোর দিকে।