প্রতীকী ছবি
সুনামগঞ্জে গত ৬ মাসে বৃদ্ধি পেয়েছে ধর্ষণসহ নারী নির্যাতন মামলা। দুই বছরের আইনশৃঙ্খলার তথ্য মূল্যায়নে বিষয়টি জানা গেছে। তবে, দায়িত্বশীলরা বলছেন, নারী সংশ্লিষ্ট অপরাধের তথ্য থানায় আসার সঙ্গে সঙ্গে মামলা রুজু করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ায় আগের বছরের চেয়ে মামলার সংখ্যা বেড়েছে। জানা যায়, গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেলার ১২টি থানায় ১৪৮টি নারী শিশু ধর্ষণ ও নির্যাতনের মামলা হয়েছে। যা ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ছিল ৪৫টি। বিগত বছরের প্রথম ছয় মাসের চেয়ে প্রায় তিন গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে এমন মামলা। এ ছাড়া ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চুরির মামলা হয়েছে ৫৭টি, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত এর সংখ্যা ছিল ৮২টি। পর্যায়ক্রমে ডাকাতির মামলা হয়েছে ১টি, খুনের মামলা হয়েছে ৩২টি।
দায়িত্বশীলরা বলছেন, নারী নিপীড়ন-ধর্ষণের মামলা দীর্ঘসূত্রিতা, সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত না হওয়ায় সমাজে এ ধরনের অপরাধ বেড়েছে। অপরাধীর বিচার কাজ দ্রুত সম্পন্ন করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা গেলে, সমাজে নারী সংশ্লিষ্ট অপরাধের প্রবণতা কমবে।
সুনামগঞ্জ মহিলা পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক পাঞ্চালী চৌধুরী জানান, এসব অপরাধ করেও পার পেয়ে যাবে, অপরাধীদের মনে এমন ধারণা তৈরি হচ্ছে। এ কারণে এই ধরনের ঘৃণিত অপরাধের পরিমাণ বেড়েছে। পরিবারের সচেতনতাসহ দ্রুত বিচার ও সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা গেলে, সমাজে এমন অপরাধের প্রবণতা কমে আসবে। সুনামগঞ্জ জন উদ্যোগের আহ্বায়ক রমেন্দ্র কুমার দে মিন্টু বললেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার সুযোগে নারী নিপীড়ন-ধর্ষণের ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। অপরাধীরা মনে করছে, অপরাধ করলেও সামাজিক বা ও আইনগতভাবে রক্ষা পাওয়ার সুযোগ আছে। মানবজমিন
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) জাকির হোসাইন বলেন, সুনামগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে, পুলিশ নিয়মিত দায়িত্ব পালন করছে। আগের থেকে কোনো কোনো ক্ষেত্রে অপরাধের পরিমাণ কমেছে। এজন্য মামলাও কমেছে। তবে নারী সংশ্লিষ্ট অপরাধের তথ্য আসার সঙ্গে সঙ্গে মামলা রুজু করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়, এজন্য আগের থেকে মামলার সংখ্যা বেড়েছে।
