০৩:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

ভারতের আরও এক যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি পাকিস্তানের

  • আপডেট সময়: ০৭:০০:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫
  • 18

যুদ্ধবিমান। ফাইল ছবি


যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার কয়েকদিন বাদে ‘চিরশত্রু’ ভারতের আরও একটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি তুলল পাকিস্তান। খোদ দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ এমন দাবির কথা জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।


আরো পড়ুন:

‘অপারেশন সিঁদুর’ শেহবাজ-ইমরানের দূরত্ব কমিয়েছে!


পাকিস্তানের দাবি মোতাবেক, এর আগে ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার কথা জানায় দেশটি। এবার একটি ফাইটার জেট ভূপাতিত করা কথা জানালো। সব মিলিয়ে ভারতের ছয়টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে বলে দাবি পাকিস্তানের।

এ নিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদন বলছে, পাকিস্তান বিমান বাহিনী (পিএএফ) কাশ্মিরের পামপুর এলাকায় গত ৬-৭ মে রাতে ভারতের আরেকটি যুদ্ধবিমান— মিরাজ ২০০০ — ভূপাতিত করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন শেহবাজ শরীফ।

বৃহস্পতিবার কামরায় পাকিস্তান বিমান বাহিনীর একটি অপারেশনাল ঘাঁটি পরিদর্শনকালে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই ঘটনা আমাদের বিমান বাহিনীর অসাধারণ দক্ষতা এবং মাতৃভূমি রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীর অটল প্রতিশ্রুতির প্রমাণ।’

পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মিডিয়া উইং আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) বিবৃতি অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ এদিন পাইলট, প্রকৌশলী এবং প্রযুক্তিবিদসহ সামনের সারির সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন এবং তাদের পেশাদারিত্ব ও নিখুঁত দক্ষতার গভীর প্রশংসা করেন।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ

শেহবাজ শরীফ বলেন, ‘ভারতের আগ্রাসনের প্রেক্ষিতে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী সংযম দেখিয়েছে, কৌশলগত দূরদর্শিতা দেখিয়েছে এবং কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। তাদের নিখুঁত ও দ্রুত জবাব শত্রুর সামরিক অবকাঠামোয় বড় ধাক্কা দিয়েছে এবং প্রমাণ করেছে যে, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় পাকিস্তান কখনো পিছপা হবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘সামরিক বাহিনীর প্রতিটি শাখা যেভাবে সচেতনতা ও সাহসিকতা দেখিয়েছে, তাতে পুরো জাতি গর্বিত। সেনাপ্রধানের যোগ্য নেতৃত্বে তারা আবারও প্রমাণ করেছে যে, পাকিস্তানের নিরাপত্তা দুর্ভেদ্য।’

শেহবাজ শরীফ আরও বলেন, ‘পাকিস্তান সরকার ও জাতি—উভয়েই জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়ে পূর্ণ অঙ্গীকারবদ্ধ। দেশের প্রতিটি ইঞ্চি রক্ষায় আমাদের বাহিনী প্রস্তুত এবং কোনো আগ্রাসন ঘটলে তার উপযুক্ত, সময়োপযোগী এবং কঠোর জবাব দেওয়া হবে।’

কয়েক দশক ধরে চলা ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সর্বশেষ উত্তেজনা শরু হয় গত ৭ মে। সেদিন  পাকিস্তান এবং আজাদ জম্মু ও কাশ্মীরের (এজেকে) বিভিন্ন এলাকায় ভারত বিমান হামলা চালিয়ে কমপক্ষে ৩১ বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করে।

এর পাল্টা জবাবে পাকিস্তান ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার কথা জানায়। যার মধ্যে তিনটি রাফায়েল। এছাড়া কয়েক ডজনও ড্রোনও ধ্বংস করে। চার দিনের সংঘাতে ভারতের হাতে কমপক্ষে ১১ সেনা এবং ৪০ বেসামরিক নাগরিক নিহত হন।

পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্ততায় সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ভারত ও পাকিস্তান। তারই মধ্যে শত্রু দেশের আরও একটি যুদ্ধবিমান ধ্বংসের কথা জানালো ইসলামাবাদ।

উত্তরাধুনিক

Writer, Singer & Environmentalist

ভারতের আরও এক যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি পাকিস্তানের

আপডেট সময়: ০৭:০০:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫

যুদ্ধবিমান। ফাইল ছবি


যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার কয়েকদিন বাদে ‘চিরশত্রু’ ভারতের আরও একটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি তুলল পাকিস্তান। খোদ দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ এমন দাবির কথা জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।


আরো পড়ুন:

‘অপারেশন সিঁদুর’ শেহবাজ-ইমরানের দূরত্ব কমিয়েছে!


পাকিস্তানের দাবি মোতাবেক, এর আগে ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার কথা জানায় দেশটি। এবার একটি ফাইটার জেট ভূপাতিত করা কথা জানালো। সব মিলিয়ে ভারতের ছয়টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে বলে দাবি পাকিস্তানের।

এ নিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদন বলছে, পাকিস্তান বিমান বাহিনী (পিএএফ) কাশ্মিরের পামপুর এলাকায় গত ৬-৭ মে রাতে ভারতের আরেকটি যুদ্ধবিমান— মিরাজ ২০০০ — ভূপাতিত করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন শেহবাজ শরীফ।

বৃহস্পতিবার কামরায় পাকিস্তান বিমান বাহিনীর একটি অপারেশনাল ঘাঁটি পরিদর্শনকালে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই ঘটনা আমাদের বিমান বাহিনীর অসাধারণ দক্ষতা এবং মাতৃভূমি রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীর অটল প্রতিশ্রুতির প্রমাণ।’

পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মিডিয়া উইং আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) বিবৃতি অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ এদিন পাইলট, প্রকৌশলী এবং প্রযুক্তিবিদসহ সামনের সারির সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন এবং তাদের পেশাদারিত্ব ও নিখুঁত দক্ষতার গভীর প্রশংসা করেন।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ

শেহবাজ শরীফ বলেন, ‘ভারতের আগ্রাসনের প্রেক্ষিতে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী সংযম দেখিয়েছে, কৌশলগত দূরদর্শিতা দেখিয়েছে এবং কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। তাদের নিখুঁত ও দ্রুত জবাব শত্রুর সামরিক অবকাঠামোয় বড় ধাক্কা দিয়েছে এবং প্রমাণ করেছে যে, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় পাকিস্তান কখনো পিছপা হবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘সামরিক বাহিনীর প্রতিটি শাখা যেভাবে সচেতনতা ও সাহসিকতা দেখিয়েছে, তাতে পুরো জাতি গর্বিত। সেনাপ্রধানের যোগ্য নেতৃত্বে তারা আবারও প্রমাণ করেছে যে, পাকিস্তানের নিরাপত্তা দুর্ভেদ্য।’

শেহবাজ শরীফ আরও বলেন, ‘পাকিস্তান সরকার ও জাতি—উভয়েই জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়ে পূর্ণ অঙ্গীকারবদ্ধ। দেশের প্রতিটি ইঞ্চি রক্ষায় আমাদের বাহিনী প্রস্তুত এবং কোনো আগ্রাসন ঘটলে তার উপযুক্ত, সময়োপযোগী এবং কঠোর জবাব দেওয়া হবে।’

কয়েক দশক ধরে চলা ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সর্বশেষ উত্তেজনা শরু হয় গত ৭ মে। সেদিন  পাকিস্তান এবং আজাদ জম্মু ও কাশ্মীরের (এজেকে) বিভিন্ন এলাকায় ভারত বিমান হামলা চালিয়ে কমপক্ষে ৩১ বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করে।

এর পাল্টা জবাবে পাকিস্তান ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার কথা জানায়। যার মধ্যে তিনটি রাফায়েল। এছাড়া কয়েক ডজনও ড্রোনও ধ্বংস করে। চার দিনের সংঘাতে ভারতের হাতে কমপক্ষে ১১ সেনা এবং ৪০ বেসামরিক নাগরিক নিহত হন।

পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্ততায় সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ভারত ও পাকিস্তান। তারই মধ্যে শত্রু দেশের আরও একটি যুদ্ধবিমান ধ্বংসের কথা জানালো ইসলামাবাদ।