এক দশক লিভ ইনে সম্পর্ক অটুট ছিল ব্র্যাড পিট ও অ্যাঞ্জেলিনা জোলির। তবে কাগজ-কলমে বাঁধা পড়ার দুই বছরে চিড় ধরে। এরপর কেটে গেছে আট বছর। এরমধ্যে সম্পর্কের সুতা ছিড়ে যাওয়া নিয়ে জোলি কথা বললেও চুপ ছিলেন ব্র্যাড। এবার তিনি মুখ খুললেন। বিচ্ছেদ নিয়ে কথা বলেছেন জিকিউ সাময়ীকিতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে।

আরো পড়ুন

https://dhakamail.com/entertainment/233257

ওই সাক্ষাৎকারে ব্র্যাড বলেন, ‘দীর্ঘ আট বছরের আইনি লড়াই শেষে বিচ্ছেদ সম্পন্ন হলেও এটি ছিল কেবল একটি আনুষ্ঠানিকতা। এই বিচ্ছেদ মানসিকভাবে কঠিন ছিল। বিচ্ছেদ চূড়ান্ত হওয়ার পর কোনো বিশেষ অনুভূতি হয়নি। মনে হয়েছে, আইনি দিক থেকে প্রক্রিয়াটি শেষ হয়েছে।’

ব্র্যাড আরও বলেন, ‘আমার ব্যক্তিগত জীবন সব সময়ই খবরের শিরোনামে থাকে। ৩০ বছর ধরে আমার জীবন সংবাদমাধ্যমের নজরদারিতে রয়েছে। আমার ব্যক্তিগত জীবনের ঘটনা নিয়ে কোনো না কোনোভাবে খবর হয়েছে। ব্যাপারটা আমার জন্য সহজ ছিল না। এটি খুব বিরক্তিকর ছিল।’

এদিকে জোলির সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ব্র্যাডের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে একাধিক নারীর। তবে গেল দুই বছর ধরে তিনি থিতু গয়না ডিজাইনার ইনেস ডি র‍্যামনের সঙ্গে। এ সম্পর্ক নিয়েও কথা বলেছেন।

তার ভাষ্য, ইনেসের সঙ্গে তার সম্পর্ক স্বাভাবিকভাবে গড়ে উঠেছে। এতে কোনো চাপ নেই। ইনেসের উপস্থিতি তাকে সব সময় সমর্থন জুগিয়েছে। তার জীবনের শান্তি ফিরিয়ে এনেছে। ব্র্যাড ও ইনেস সচেতনভাবে মিডিয়ার চোখ এড়িয়ে অনেকটা নীরবে এ সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছেন। তাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের মতে, এই গোপনীয়তা বজায় রাখাই তাদের সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখার অন্যতম কারণ।

এদিকে বিচ্ছেদ চূড়ান্ত হতেই মুখ খুলেছেন জোলি। তার টিম থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আট বছরেরও বেশি সময় আগে অ্যাঞ্জেলিনা জোলি পিটের কাছ থেকে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেছিলেন। জোলি ও তার সন্তানেরা পিটের সঙ্গে ভাগ করা সব সম্পত্তি ছেড়ে দিয়েছিলেন। সেই সময় থেকে তিনি তাঁর পরিবারের মানসিক শান্তি ও সুস্থতার দিকে মনোযোগ দেন। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়ায় জোলি বিপর্যস্ত, তবে প্রক্রিয়াটি শেষ হওয়ায় তিনি স্বস্তি বোধ করছেন।’

ব্র্যাঞ্জেলিনার প্রথম পরিচয় ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস স্মিথ’ সিনেমার সেটে। যা পরে রূপ নেয় প্রেমে। তারপর থেকেই এক ছাদের নিচে থাকা শুরু করেন তারা। এক সময় সন্তনদের অনুরোধে করেন বিয়ে। তবে দুই বছরের মাথায় ২০১৬ সালে আলাদা হন তারা।