
সংগৃহীত ছবি
ঢাকাসহ সারাদেশে যানবাহন, ইটভাটা, অনিয়ন্ত্রিত অবকাঠামো নির্মাণ ও বিভিন্ন নির্মাণসামগ্রীর পরিবহন এবং উন্মুক্তভাবে বর্জ্য পোড়ানোর কারণে বায়ুদূষণ আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়ছে। পরিবেশ অধিদপ্তর এক গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বায়ুদূষণ রোধে সংশ্লিষ্ট দপ্তর, সংস্থা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ জনগণের প্রতি একাধিক নির্দেশনা প্রদান করেছে।
নির্দেশনায় বলা হয়, রাস্তায় বিভিন্ন ইউটিলিটি সার্ভিস যেমন পানি, গ্যাস, বিদ্যুৎ ইত্যাদি স্থাপন বা মেরামতের পর ধুলাবালি নিয়ন্ত্রণে দ্রুততম সময়ের মধ্যে রাস্তা কার্পেটিং করে পরিচ্ছন্ন পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
ইকোনমিক লাইফ অতিক্রান্ত হয়েছে এমন যানবাহন জরুরিভাবে রাস্তাঘাট থেকে সরাতে হবে এবং ত্রুটিপূর্ণ দূষণ সৃষ্টিকারী যানবাহন দ্রুত মেরামত করে সচল করতে হবে।
রাস্তা, সড়ক, মহাসড়ক বা উন্মুক্ত স্থানে বর্জ্য ফেলে রাখা এবং উন্মুক্তভাবে পোড়ানো সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। এটি একটি দণ্ডনীয় অপরাধ। দায়িত্বশীলদের এ বিষয়ে প্রতিদিন সচেতন থাকতে হবে।
বায়ুদূষণকারী শিল্পকারখানা যেমন ইটভাটা, সিমেন্ট, স্টিল, রি-রোলিং ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানকে যথাযথ আইন ও বিধিমালার আওতায় পরিবেশসম্মতভাবে পরিচালনা করতে হবে।
মার্কেট, শপিংমল, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও বাসা-বাড়ি থেকে সৃষ্ট ময়লা-আবর্জনা ও ধুলাবালি রাস্তায় ফেলা বা পোড়ানো যাবে না। নালা, নর্দমা বা ড্রেন পরিষ্কারের পর সে বর্জ্য রাস্তার পাশে স্তূপ করে রাখা নিষিদ্ধ। ঢাকা শহরের নির্মাণসামগ্রী পরিবহনকারী ট্রাক, ভ্যান ও লরিগুলোকে অবশ্যই সম্পূর্ণভাবে ঢেকে পরিবহন করতে হবে।
বর্জ্য, পৌরবর্জ্য এবং গৃহস্থালি বর্জ্য খোলা অবস্থায় সংরক্ষণ বা পোড়ানো যাবে না। অবৈধ ব্যাটারি রিসাইক্লিং এবং টায়ার পোড়ানো কারখানাগুলো অবিলম্বে বন্ধ রাখতে হবে। পরিবেশ অধিদপ্তর সতর্ক করেছে, এসব দূষণমূলক কার্যক্রমের ফলে মারাত্মক বায়ুদূষণ তৈরি হচ্ছে, যার ফলে সাধারণ মানুষ ও তাদের পরিবারের সদস্যরা মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছেন।
পরিবেশ রক্ষায় সকলকে এ নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আসুন বায়ুদূষণ রোধ করি, সুস্থ ও সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ি।