০৩:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুড়ে যে ভয়ংকর বার্তা দিলেন কিম জং উন!

  • আপডেট সময়: ০৪:২৯:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫
  • 3

পুরো বিশ্বের অন্তর্দৃষ্টি যখন ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের দিকে ঠিক তখনই মুহুর্মুহু ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুড়ে ইসরায়েলসহ পশ্চিমা বিশ্বকে যেনো তাক লাগিয়ে দিলো উত্তর কোরিয়া। সম্প্রতি দেশটি রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ের সুনান এলাকা থেকে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের দিকে ১০টিরও বেশি মাল্টিলঞ্চার মিসাইল নিক্ষেপ করেছে। আর এতেই যেনো রীতিমতো কাঁপন ধরেছে দখলদার কট্টর ইসলাম বিদ্বেষী ইসরায়েল আর তার পরম মিত্র ইহুদিবাদি যুক্তরাষ্ট্রের।

ইরানে আগ বাড়িয়ে হামলা চালিয়ে দেশটির পাল্টা মুহুর্মুহু ক্ষেপণাস্ত্রের হামলায় যখন বিধ্বস্ত ইসলাম বিদ্বেষী ইসরায়েল। তখন তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইরানকে একের পর কঠোর হুমকি দিয়েই যাচ্ছেন বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী এই নেতা। কিন্তু, ইরানের আপোষহীন সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি যেনো এক অপ্রতিরোধ্য যোদ্ধা তাকে দমানো যাবে না কোন হুমকিতেই। ইসলাম বিদ্বেষী ইসরায়েলকে শায়েস্তা না করে তিনিও না থামার ঘোষণা দেন।

এদিকে আমেরিকা বারবার ইরানকে ধমকালে সরাসরি হামলা করার হুমকি দিলে, ইরানের পাশে দাঁড়ায় পরাশক্তি চীন-রাশিয়াসহ উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন। প্রকাশ্যে ঘোষণা দেন পরম মিত্র ইরানের পাশে থাকার। প্রসিডেন্ট কিম জং উন বলেন, ইরান একা নয়, উত্তর কোরিয়া তাদের পাশে রয়েছে। তিনি আরও জানান, উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতির স্তরে আনা হয়েছে। “আমরা আমাদের মিত্রদের কখনোই কঠিন সময়ে ছেড়ে দিই না। যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসী নীতি আমাদের জানা আছে এবং আমরা তার বিরুদ্ধে আমাদের বন্ধুদের পাশে দৃঢ়ভাবে দাঁড়াবো।”

অন্যদিকে সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার ছোড়া মিসাইলগুলো স্বল্পপাল্লার ব্যালিস্টিক মিসাইল বলে জানা যাচ্ছে, যা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রেজ্যুলেশনের আওতায় নিষিদ্ধ। যদিও দীর্ঘদিন ধরেই এসব বিধিনিষেধ অমান্য করে আসছে উত্তর কোরিয়া। আর ইরানের পাশে থাকার ঘোষণার পরপরই এভাবে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে কড়া হুশিয়ারিই দিলেন কিম জং উন, এমনটিই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, আমেরিকা যদি কোনভাবে ইরানে সরাসরি হামলা চালায় তাহলে কোনভাবেই বসে থাকবেন না উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট। সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত করে রাখার পর এবার ব্যালিস্টিক মিসাইল ছোড়ার ঘটনা সেটিই প্রমাণ করে।

 

উত্তরাধুনিক

Writer, Singer & Environmentalist

ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুড়ে যে ভয়ংকর বার্তা দিলেন কিম জং উন!

আপডেট সময়: ০৪:২৯:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫

পুরো বিশ্বের অন্তর্দৃষ্টি যখন ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের দিকে ঠিক তখনই মুহুর্মুহু ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুড়ে ইসরায়েলসহ পশ্চিমা বিশ্বকে যেনো তাক লাগিয়ে দিলো উত্তর কোরিয়া। সম্প্রতি দেশটি রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ের সুনান এলাকা থেকে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের দিকে ১০টিরও বেশি মাল্টিলঞ্চার মিসাইল নিক্ষেপ করেছে। আর এতেই যেনো রীতিমতো কাঁপন ধরেছে দখলদার কট্টর ইসলাম বিদ্বেষী ইসরায়েল আর তার পরম মিত্র ইহুদিবাদি যুক্তরাষ্ট্রের।

ইরানে আগ বাড়িয়ে হামলা চালিয়ে দেশটির পাল্টা মুহুর্মুহু ক্ষেপণাস্ত্রের হামলায় যখন বিধ্বস্ত ইসলাম বিদ্বেষী ইসরায়েল। তখন তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইরানকে একের পর কঠোর হুমকি দিয়েই যাচ্ছেন বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী এই নেতা। কিন্তু, ইরানের আপোষহীন সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি যেনো এক অপ্রতিরোধ্য যোদ্ধা তাকে দমানো যাবে না কোন হুমকিতেই। ইসলাম বিদ্বেষী ইসরায়েলকে শায়েস্তা না করে তিনিও না থামার ঘোষণা দেন।

এদিকে আমেরিকা বারবার ইরানকে ধমকালে সরাসরি হামলা করার হুমকি দিলে, ইরানের পাশে দাঁড়ায় পরাশক্তি চীন-রাশিয়াসহ উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন। প্রকাশ্যে ঘোষণা দেন পরম মিত্র ইরানের পাশে থাকার। প্রসিডেন্ট কিম জং উন বলেন, ইরান একা নয়, উত্তর কোরিয়া তাদের পাশে রয়েছে। তিনি আরও জানান, উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতির স্তরে আনা হয়েছে। “আমরা আমাদের মিত্রদের কখনোই কঠিন সময়ে ছেড়ে দিই না। যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসী নীতি আমাদের জানা আছে এবং আমরা তার বিরুদ্ধে আমাদের বন্ধুদের পাশে দৃঢ়ভাবে দাঁড়াবো।”

অন্যদিকে সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার ছোড়া মিসাইলগুলো স্বল্পপাল্লার ব্যালিস্টিক মিসাইল বলে জানা যাচ্ছে, যা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রেজ্যুলেশনের আওতায় নিষিদ্ধ। যদিও দীর্ঘদিন ধরেই এসব বিধিনিষেধ অমান্য করে আসছে উত্তর কোরিয়া। আর ইরানের পাশে থাকার ঘোষণার পরপরই এভাবে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে কড়া হুশিয়ারিই দিলেন কিম জং উন, এমনটিই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, আমেরিকা যদি কোনভাবে ইরানে সরাসরি হামলা চালায় তাহলে কোনভাবেই বসে থাকবেন না উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট। সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত করে রাখার পর এবার ব্যালিস্টিক মিসাইল ছোড়ার ঘটনা সেটিই প্রমাণ করে।