১১:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

বিশ্ববাসীর দৃষ্টি এখন ইরানের দিকে

  • আপডেট সময়: ০৮:৪৮:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫
  • 6

যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় ইরানের গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় আঘাত হানার পর রোববার থেকে পুরো বিশ্ব অপেক্ষা করছে তেহরানের প্রতিক্রিয়ার জন্য।

ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে এটি ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের বিরুদ্ধে ১৯৭৯ সালের বিপ্লবের পর পশ্চিমা বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামরিক অভিযান হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। খবর রয়টার্সের।

শনিবার যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ফোরদো পারমাণবিক কেন্দ্রে পর্বতের উপর বিশাল ৩০ হাজার পাউন্ড ওজনের ৬টি ‘বান্কার বাস্টার’ বোমা নিক্ষেপ করে।

এ ঘটনার পর ইরান আত্মরক্ষার অঙ্গীকার করে, আর আমেরিকার নেতৃত্ব তেহরানকে সতর্ক করে বলেছে—প্রতিক্রিয়া না দেখাতে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভও শুরু হয়েছে।

‘ট্রুথ সোশ্যাল’ প্ল্যাটফর্মে দেওয়া এক পোস্টে রোববার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘সরকার পরিবর্তন’ শব্দটা এখন রাজনৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য না হলেও, যদি বর্তমান ইরানি সরকার ‘MAKE IRAN GREAT AGAIN’ করতে না পারে, তাহলে সরকার পরিবর্তন হবে না কেন??? MIGA!!!’

এই অবস্থায় ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা অব্যাহত রয়েছে। ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর একজন মুখপাত্র জানান, ইসরাইলি যুদ্ধবিমান পশ্চিম ইরানের বেশ কয়েকটি সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে।

এর আগে ইরান তেল আবিবে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে, যার ফলে বহু ভবন ধ্বংস হয় এবং বহু মানুষ আহত হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তা বিভাগ সতর্ক করে বলেছে, দেশজুড়ে ‘উচ্চমাত্রার নিরাপত্তা হুমকি’র আশঙ্কা রয়েছে। সাইবার হামলা বা লক্ষ্যভিত্তিক সহিংসতার শঙ্কা থেকে নিউ ইয়র্কসহ বড় শহরগুলোতে কূটনৈতিক, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলোতে অতিরিক্ত টহল জোরদার করা হয়েছে।

বিদেশে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের জন্য পররাষ্ট্র দপ্তর এক নিরাপত্তা সতর্কতা জারি করেছে, যেখানে বিক্ষোভ ও ভ্রমণ বিঘ্ন ঘটতে পারে বলে জানানো হয়।

মধ্যপ্রাচ্যের আকাশসীমা বন্ধ থাকায় তারা যেন সতর্কতা অবলম্বন করে চলাফেরা করেন—এমন পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এখনও পর্যন্ত ইরান সরাসরি মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা কিংবা বিশ্বজুড়ে তেল সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার মতো হুমকি কার্যকর করেনি, তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে কোনো সময় পাল্টা পদক্ষেপ নিতে পারে তেহরান।

তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি বলেন, ‘আমরা সব ধরনের প্রতিক্রিয়া বিবেচনা করছি। প্রতিশোধ নেওয়ার আগে কোনো কূটনৈতিক আলোচনায় ফেরা হবে না।’ তিনি যুক্তরাষ্ট্রের হামলাকে আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি চরম অবজ্ঞা বলে অভিহিত করেন।


আরো পড়ুন: মার্কিন নাগরিকদের জন্য বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তা সতর্কতা জারি


টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, ‘এই অভিযান ছিল এক অসাধারণ সামরিক সাফল্য। ইরানের প্রধান পারমাণবিক সমৃদ্ধিকরণ কেন্দ্র সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে।’

স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা গেছে, ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনার নিচে থাকা ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধির সেন্ট্রিফিউজগুলো হয় ধ্বংস হয়েছে অথবা গুরুতর ক্ষতিগ্রস্ত। যদিও এখনো এই কেন্দ্রের প্রকৃত অবস্থা নিশ্চিত করা যায়নি।

জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা আইএইএ জানিয়েছে, মার্কিন হামলার পর আশপাশের এলাকাগুলোতে রেডিওঅ্যাকটিভ বিকিরণের মাত্রা বাড়েনি।

সংস্থার মহাসচিব রাফায়েল গ্রোসি সিএনএনকে জানান, ভূগর্ভস্থ ক্ষতির মাত্রা এখনো নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি।

রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইরানের এক জ্যেষ্ঠ সূত্র জানান, ফোরদো কেন্দ্রে থাকা অধিকাংশ উচ্চমাত্রার সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম হামলার আগেই অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।

ম্যাক্সার টেকনোলজিসের স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ফোরদো কেন্দ্রের প্রবেশপথে শত শত গাড়ির দীর্ঘ সারি।

এদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প একদিকে যুদ্ধের অবসান ঘটানোর কূটনৈতিক প্রস্তাব দিলেও, অন্যদিকে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বৈদেশিক নীতির সিদ্ধান্তটি নিয়ে ফেলেছেন।

তিনি ইরানকে সতর্ক করে বলেন, এখনই শান্তি স্থাপন করতে হবে, না হলে ভবিষ্যতের হামলাগুলো আরও বড় ও সহজ হবে।

ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ পারস্য উপসাগরের হরমুজ প্রণালী বন্ধের একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। বিশ্বের প্রায় এক-চতুর্থাংশ তেল পরিবহন এই সংকীর্ণ জলপথ দিয়ে হয়, যা ইরান, ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাঝে অবস্থিত।

এই প্রণালী বন্ধ করে তেল সরবরাহ আটকে দিলে বিশ্ববাজারে দাম আকাশচুম্বী হয়ে উঠতে পারে, বৈশ্বিক অর্থনীতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এবং যুক্তরাষ্ট্রের পঞ্চম নৌবহরের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে পারে ইরান।

রোববার ব্রেন্ট ও মার্কিন ক্রুড অয়েলের দাম জানুয়ারির পর সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। ব্রেন্ট অয়েলের দাম বেড়েছে ৩.২০ ডলার, দাঁড়িয়েছে ৮০.২৮ ডলারে এবং ইউএস ক্রুড বেড়েছে ২.৮৯ ডলার, দাঁড়িয়েছে ৭৬.৭৩ ডলারে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও সিবিএসকে বলেন, ইরান যদি কোনো উস্কানি না দেয়, তাহলে আর কোনো সামরিক অভিযান পরিকল্পনায় নেই।

এদিন জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ এক জর

উত্তরাধুনিক

Writer, Singer & Environmentalist

বিশ্ববাসীর দৃষ্টি এখন ইরানের দিকে

আপডেট সময়: ০৮:৪৮:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় ইরানের গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় আঘাত হানার পর রোববার থেকে পুরো বিশ্ব অপেক্ষা করছে তেহরানের প্রতিক্রিয়ার জন্য।

ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে এটি ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের বিরুদ্ধে ১৯৭৯ সালের বিপ্লবের পর পশ্চিমা বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামরিক অভিযান হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। খবর রয়টার্সের।

শনিবার যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ফোরদো পারমাণবিক কেন্দ্রে পর্বতের উপর বিশাল ৩০ হাজার পাউন্ড ওজনের ৬টি ‘বান্কার বাস্টার’ বোমা নিক্ষেপ করে।

এ ঘটনার পর ইরান আত্মরক্ষার অঙ্গীকার করে, আর আমেরিকার নেতৃত্ব তেহরানকে সতর্ক করে বলেছে—প্রতিক্রিয়া না দেখাতে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভও শুরু হয়েছে।

‘ট্রুথ সোশ্যাল’ প্ল্যাটফর্মে দেওয়া এক পোস্টে রোববার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘সরকার পরিবর্তন’ শব্দটা এখন রাজনৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য না হলেও, যদি বর্তমান ইরানি সরকার ‘MAKE IRAN GREAT AGAIN’ করতে না পারে, তাহলে সরকার পরিবর্তন হবে না কেন??? MIGA!!!’

এই অবস্থায় ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা অব্যাহত রয়েছে। ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর একজন মুখপাত্র জানান, ইসরাইলি যুদ্ধবিমান পশ্চিম ইরানের বেশ কয়েকটি সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে।

এর আগে ইরান তেল আবিবে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে, যার ফলে বহু ভবন ধ্বংস হয় এবং বহু মানুষ আহত হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তা বিভাগ সতর্ক করে বলেছে, দেশজুড়ে ‘উচ্চমাত্রার নিরাপত্তা হুমকি’র আশঙ্কা রয়েছে। সাইবার হামলা বা লক্ষ্যভিত্তিক সহিংসতার শঙ্কা থেকে নিউ ইয়র্কসহ বড় শহরগুলোতে কূটনৈতিক, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলোতে অতিরিক্ত টহল জোরদার করা হয়েছে।

বিদেশে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের জন্য পররাষ্ট্র দপ্তর এক নিরাপত্তা সতর্কতা জারি করেছে, যেখানে বিক্ষোভ ও ভ্রমণ বিঘ্ন ঘটতে পারে বলে জানানো হয়।

মধ্যপ্রাচ্যের আকাশসীমা বন্ধ থাকায় তারা যেন সতর্কতা অবলম্বন করে চলাফেরা করেন—এমন পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এখনও পর্যন্ত ইরান সরাসরি মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা কিংবা বিশ্বজুড়ে তেল সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার মতো হুমকি কার্যকর করেনি, তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে কোনো সময় পাল্টা পদক্ষেপ নিতে পারে তেহরান।

তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি বলেন, ‘আমরা সব ধরনের প্রতিক্রিয়া বিবেচনা করছি। প্রতিশোধ নেওয়ার আগে কোনো কূটনৈতিক আলোচনায় ফেরা হবে না।’ তিনি যুক্তরাষ্ট্রের হামলাকে আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি চরম অবজ্ঞা বলে অভিহিত করেন।


আরো পড়ুন: মার্কিন নাগরিকদের জন্য বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তা সতর্কতা জারি


টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, ‘এই অভিযান ছিল এক অসাধারণ সামরিক সাফল্য। ইরানের প্রধান পারমাণবিক সমৃদ্ধিকরণ কেন্দ্র সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে।’

স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা গেছে, ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনার নিচে থাকা ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধির সেন্ট্রিফিউজগুলো হয় ধ্বংস হয়েছে অথবা গুরুতর ক্ষতিগ্রস্ত। যদিও এখনো এই কেন্দ্রের প্রকৃত অবস্থা নিশ্চিত করা যায়নি।

জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা আইএইএ জানিয়েছে, মার্কিন হামলার পর আশপাশের এলাকাগুলোতে রেডিওঅ্যাকটিভ বিকিরণের মাত্রা বাড়েনি।

সংস্থার মহাসচিব রাফায়েল গ্রোসি সিএনএনকে জানান, ভূগর্ভস্থ ক্ষতির মাত্রা এখনো নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি।

রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইরানের এক জ্যেষ্ঠ সূত্র জানান, ফোরদো কেন্দ্রে থাকা অধিকাংশ উচ্চমাত্রার সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম হামলার আগেই অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।

ম্যাক্সার টেকনোলজিসের স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ফোরদো কেন্দ্রের প্রবেশপথে শত শত গাড়ির দীর্ঘ সারি।

এদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প একদিকে যুদ্ধের অবসান ঘটানোর কূটনৈতিক প্রস্তাব দিলেও, অন্যদিকে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বৈদেশিক নীতির সিদ্ধান্তটি নিয়ে ফেলেছেন।

তিনি ইরানকে সতর্ক করে বলেন, এখনই শান্তি স্থাপন করতে হবে, না হলে ভবিষ্যতের হামলাগুলো আরও বড় ও সহজ হবে।

ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ পারস্য উপসাগরের হরমুজ প্রণালী বন্ধের একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। বিশ্বের প্রায় এক-চতুর্থাংশ তেল পরিবহন এই সংকীর্ণ জলপথ দিয়ে হয়, যা ইরান, ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাঝে অবস্থিত।

এই প্রণালী বন্ধ করে তেল সরবরাহ আটকে দিলে বিশ্ববাজারে দাম আকাশচুম্বী হয়ে উঠতে পারে, বৈশ্বিক অর্থনীতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এবং যুক্তরাষ্ট্রের পঞ্চম নৌবহরের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে পারে ইরান।

রোববার ব্রেন্ট ও মার্কিন ক্রুড অয়েলের দাম জানুয়ারির পর সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। ব্রেন্ট অয়েলের দাম বেড়েছে ৩.২০ ডলার, দাঁড়িয়েছে ৮০.২৮ ডলারে এবং ইউএস ক্রুড বেড়েছে ২.৮৯ ডলার, দাঁড়িয়েছে ৭৬.৭৩ ডলারে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও সিবিএসকে বলেন, ইরান যদি কোনো উস্কানি না দেয়, তাহলে আর কোনো সামরিক অভিযান পরিকল্পনায় নেই।

এদিন জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ এক জর