০৬:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

ইসরায়েল সংঘাতের প্রেক্ষাপটে ইরানজুড়ে ব্যাপক ধরপাকড়

  • আপডেট সময়: ০৮:১৫:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫
  • 3

ছবিসূত্র: এএফপি


ইসরায়েলের সঙ্গে সাম্প্রতিক যুদ্ধের পর ইরানজুড়ে ব্যাপক ধরপাকড়, গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর এবং নিরাপত্তা বাহিনীর কঠোর দমন-পীড়ন শুরু হয়েছে। ইরানি কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, তাদের নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে ‘ইতিহাসে নজিরবিহীন’ অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ।

কর্মকর্তারা মনে করছেন, এই অনুপ্রবেশের মাধ্যমে ইসরায়েলকে এমন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করা হয়েছিল, যার ফলে ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)-এর সিনিয়র কমান্ডার ও পারমাণবিক বিজ্ঞানীদের হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। দেশটির গোয়েন্দা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা ‘পশ্চিমা ও ইসরায়েলি গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক’ — যেমন সিআইএ, মোসাদ এবং এম১৬-এর বিরুদ্ধে ‘অবিরাম যুদ্ধ’ চালিয়ে যাচ্ছে।

সম্প্রতি ১২ দিনের যুদ্ধে তিনজনকে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়, আর যুদ্ধবিরতির পরের দিনই আরো তিনজনের দণ্ড কার্যকর করা হয়। একই সঙ্গে দেশজুড়ে ৭০০ জনেরও বেশি সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আইআরজিসির ঘনিষ্ঠ ফারস নিউজ এজেন্সি।

ইরানি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত হয়েছে কয়েকজন বন্দির তথাকথিত স্বীকারোক্তিমূলক বক্তব্য, যাদের দাবি— তারা ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে কাজ করতেন।

এদিকে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মানবাধিকার সংস্থাগুলোর আশঙ্কা, এসব স্বীকারোক্তি জোরপূর্বক আদায় করা হতে পারে এবং বিচার প্রক্রিয়া যথাযথ হয়নি।

তারা বলছে, ইরানে দীর্ঘদিন ধরেই গোপন বিচার এবং জোরপূর্বক স্বীকারোক্তির অভিযোগ রয়েছে।

বিদেশে কর্মরত ফার্সি ভাষার গণমাধ্যমকর্মীদের ওপরও চাপ বাড়িয়েছে ইরান সরকার, এমনটাই বলা হয়েছে বিবিসির প্রতিবেদনে। বিবিসি পারসিয়ান, ইরান ইন্টারন্যাশনাল এবং লন্ডনভিত্তিক মানোতো টিভির সাংবাদিকদের পরিবারকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে।

বিবিসি পারসিয়ানের সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে তাদের পরিবারকে লক্ষ্য করে হুমকি বাড়ছে।

তাদের ‘মোহারেব’ বা ‘ঈশ্বরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে এমন ব্যক্তি’ বলে আখ্যা দেওয়া হচ্ছে— যে অপরাধে ইরানে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। একই ধরনের ঘটনা মানোতো টিভির কর্মীদের সঙ্গেও ঘটেছে। পরিবারের সদস্যদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

যুদ্ধ চলাকালীন ইরানে ইন্টারনেট প্রবেশাধিকার কঠোরভাবে সীমিত করা হয়।

উত্তরাধুনিক

Writer, Singer & Environmentalist

ইসরায়েল সংঘাতের প্রেক্ষাপটে ইরানজুড়ে ব্যাপক ধরপাকড়

আপডেট সময়: ০৮:১৫:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

ছবিসূত্র: এএফপি


ইসরায়েলের সঙ্গে সাম্প্রতিক যুদ্ধের পর ইরানজুড়ে ব্যাপক ধরপাকড়, গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর এবং নিরাপত্তা বাহিনীর কঠোর দমন-পীড়ন শুরু হয়েছে। ইরানি কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, তাদের নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে ‘ইতিহাসে নজিরবিহীন’ অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ।

কর্মকর্তারা মনে করছেন, এই অনুপ্রবেশের মাধ্যমে ইসরায়েলকে এমন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করা হয়েছিল, যার ফলে ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)-এর সিনিয়র কমান্ডার ও পারমাণবিক বিজ্ঞানীদের হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। দেশটির গোয়েন্দা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা ‘পশ্চিমা ও ইসরায়েলি গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক’ — যেমন সিআইএ, মোসাদ এবং এম১৬-এর বিরুদ্ধে ‘অবিরাম যুদ্ধ’ চালিয়ে যাচ্ছে।

সম্প্রতি ১২ দিনের যুদ্ধে তিনজনকে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়, আর যুদ্ধবিরতির পরের দিনই আরো তিনজনের দণ্ড কার্যকর করা হয়। একই সঙ্গে দেশজুড়ে ৭০০ জনেরও বেশি সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আইআরজিসির ঘনিষ্ঠ ফারস নিউজ এজেন্সি।

ইরানি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত হয়েছে কয়েকজন বন্দির তথাকথিত স্বীকারোক্তিমূলক বক্তব্য, যাদের দাবি— তারা ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে কাজ করতেন।

এদিকে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মানবাধিকার সংস্থাগুলোর আশঙ্কা, এসব স্বীকারোক্তি জোরপূর্বক আদায় করা হতে পারে এবং বিচার প্রক্রিয়া যথাযথ হয়নি।

তারা বলছে, ইরানে দীর্ঘদিন ধরেই গোপন বিচার এবং জোরপূর্বক স্বীকারোক্তির অভিযোগ রয়েছে।

বিদেশে কর্মরত ফার্সি ভাষার গণমাধ্যমকর্মীদের ওপরও চাপ বাড়িয়েছে ইরান সরকার, এমনটাই বলা হয়েছে বিবিসির প্রতিবেদনে। বিবিসি পারসিয়ান, ইরান ইন্টারন্যাশনাল এবং লন্ডনভিত্তিক মানোতো টিভির সাংবাদিকদের পরিবারকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে।

বিবিসি পারসিয়ানের সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে তাদের পরিবারকে লক্ষ্য করে হুমকি বাড়ছে।

তাদের ‘মোহারেব’ বা ‘ঈশ্বরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে এমন ব্যক্তি’ বলে আখ্যা দেওয়া হচ্ছে— যে অপরাধে ইরানে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। একই ধরনের ঘটনা মানোতো টিভির কর্মীদের সঙ্গেও ঘটেছে। পরিবারের সদস্যদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

যুদ্ধ চলাকালীন ইরানে ইন্টারনেট প্রবেশাধিকার কঠোরভাবে সীমিত করা হয়।