
বাংলাদেশ টেস্ট দলের নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেন নাজমুল হোসেন শান্ত। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সদ্য সমাপ্ত টেস্ট সিরিজটিই হয়ে থাকল তার শেষ অধিনায়কত্বের মিশন। কলম্বোয় দ্বিতীয় টেস্ট শেষে সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষণা দেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।
সংবাদ সম্মেলনে শান্ত বলেন, ‘আমি বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি। আমি টেস্ট ফরম্যাটে আর এই দায়িত্ব পালন করতে চাই না। আমি সবাইকে পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, এটা ব্যক্তিগত কোনো কিছু নয়। পুরোপুরি দলের ভালোর জন্য আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং আমি মনে করি এটাতে দলের ভালো কিছুই হবে।‘
নেতৃত্ব ছাড়ার কারণও খোলাসা করেছেন শান্ত। তার ভাষায়, ‘গত কয়েক বছর ধরে আমি এই ড্রেসিংরুমে ছিলাম। আমার মনে হয়, একই দলে তিনজন অধিনায়ক থাকাটা সমস্যা তৈরি করতে পারে। এটা আমার ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ। দলের স্বার্থেই আমি সরে দাঁড়ালাম। তবে ক্রিকেট বোর্ড যদি মনে করে তিন অধিনায়কই থাকবে, সেটা তাদের সিদ্ধান্ত।‘
এ সিদ্ধান্ত কোনো বিতর্ক বা ব্যক্তিগত ক্ষোভ থেকে নয়, সেটাও স্পষ্ট করেন শান্ত। তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি কেউ যেন না ভাবে আমি ব্যক্তিগত কারণে বা রাগ করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি আবারও বলছি, এটি দলের ভালোর জন্য। এখানে ব্যক্তিগত কোনো আবেগ কাজ করেনি।‘
২০২৪ সাল ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব পরিবর্তনের বছর। বছরের শুরুতে তিন সংস্করণেই দলের নেতৃত্বে ছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি বদলাতে থাকে।
সর্বপ্রথম টি টোয়েন্টি দলের অধিনায়কত্ব থেকে নিজে থেকেই সরে দাঁড়ান শান্ত। এরপর এই সংক্ষিপ্ত সংস্করণে নেতৃত্বের দায়িত্ব দেওয়া হয় লিটন দাসকে। তবে বিতর্কের জন্ম হয় শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগে, যখন শান্তকে না জানিয়ে ওয়ানডে দলের অধিনায়ক হিসেবে ঘোষণা করা হয় মেহেদী হাসান মিরাজকে।