০৯:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫

বাহরাইনের মেয়েদেরকে ৭-০ ব্যবধানে শোচনীয়ভাবে হারালো বাংলার বাঘিনীরা

  • আপডেট সময়: ০৮:২৫:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫
  • 3

এমন উচ্ছ্বাসই  করেছেন বাংলাদেশের মেয়েরা। ছবি: বাফুফে


বাংলাদেশের থেকে নারী ফিফা র‌্যাংকিংয়ে ৩৬ ধাপ এগিয়ে বাহরাইন। কাগজে-কলমে প্রতিপক্ষ এগিয়ে থাকলেও মাঠের খেলার চিত্র ভিন্ন। উল্টো বাহরাইনকে নিয়ে ‘ছেলেখেলাই’ খেলল বাংলাদেশ।

প্রথমবারের দেখায় প্রতিপক্ষকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ।

এএফসি নারী এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বের বড় জয়ের ৫ গোলই প্রথমার্ধে করেন কোচ পিটার বাটলারের শিষ্যরা। শুরুটা করেন শামসুন্নাহার জুনিয়র। ম্যাচের ১০ মিনিটে প্রতিপক্ষের বক্স বরাবর দারুণ এক ক্রস করেন স্বপ্না রানি। গোলরক্ষক খুলুদ সালেহ আবদুল্লাহ গোল বাঁচাতে আসলে তাকে ফাঁকি দিয়ে বল জালে জড়ান শামসুন্নাহার।

৫ মিনিট পরেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ঋতুপর্ণা চাকমা। বাংলাদেশি ফরোয়ার্ডের গোলটি ছিল দেখার মতো। বক্সের বাঁ প্রান্ত থেকে বাঁ পায়ের অবিশ্বাস্য এক শটে গোলটি করেন তিনি। তার আগে দারুণ এক পাস দেন প্রথম গোলের সহায়তাকারি স্বপ্না।

পুরো ম্যাচেই প্রতিপক্ষের ওপর আধিপত্য দেখানো বাংলাদেশ ২৪ মিনিটে আরেকটি গোল পেতে পারত।

বাহরাইনের গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হলেন মনিকা চাকমা। খুলুদের মাথার ওপর দিয়ে চিপ করলেও বারের ওপর দিয়ে যায় বল। ৩২ মিনিটে অবশ্য তহুরা খাতুন গোল দিয়েছিলেন। অফসাইডের কারণে সেই গোল বাতিল হলেও পরে ঠিকই বিরতিতে যাওয়ার আগে জোড়া গোল করেছেন তিনি।

যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় ও চতুর্থ মিনিটে গোল করে ব্যবধান ৫-০ করেন তিনি। তার আগে ৪০ মিনিটে তৃতীয় গোলটি করেন কোহাতি কিসকু।

বিরতির পরেও দাপট ধরে রাখে বাংলাদেশ। ৪৭ মিনিটে তার ফল প্রায় পেয়েই গিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে শামসুন্নাহারকে দ্বিতীয় গোল পেতে দেননি বাহরাইনের গোলরক্ষক, বার থেকে সামনে বেরিয়ে এসে শেষ মুহূর্তে পা দিয়ে গোল সেভ করেন খুলুদ।

৬০ মিনিটে অবশ্য ব্যবধান কমানোর সুযোগ পেয়েছিল বাহরাইন। তবে দারুণ এক সেভ দেন গোলরক্ষক রূপনা চাকমা। গোলবার থেকে বেরিয়ে এসে বল ধরে ফেলেন তিনি। বাহরাইন না পেলেও ফিরতি মিনিটে ঠিকই ষষ্ঠ গোল পায় বাংলাদেশ। গোলমুখ থেকে বল পাঠানোর বিরতিতে বাহরাইনের ডিফেন্ডার রাওয়ান নাবেল আল আলি জালের জড়িয়ে দেন।

৬৭ মিনিটে আরেকটি দুর্দান্ত সেভ করেন রূপনা। প্রতিপক্ষের ফরোয়ার্ডের জোরালো শট বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে জাল অক্ষত রাখেন বাংলাদেশের গোলরক্ষক। আর ৭৪ মিনিটে প্রতিপক্ষের জালে শেষ পেরেকটি মারেন মোসাম্মৎ মুনকি আক্তার। পরে আর কোনো গোল না হলে মায়ানমারে শুরু হওয়া বাছাই পর্ব জয় দিয়ে শুরু করল বাংলাদেশ।

 

উত্তরাধুনিক

Writer, Singer & Environmentalist

বাহরাইনের মেয়েদেরকে ৭-০ ব্যবধানে শোচনীয়ভাবে হারালো বাংলার বাঘিনীরা

আপডেট সময়: ০৮:২৫:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫

এমন উচ্ছ্বাসই  করেছেন বাংলাদেশের মেয়েরা। ছবি: বাফুফে


বাংলাদেশের থেকে নারী ফিফা র‌্যাংকিংয়ে ৩৬ ধাপ এগিয়ে বাহরাইন। কাগজে-কলমে প্রতিপক্ষ এগিয়ে থাকলেও মাঠের খেলার চিত্র ভিন্ন। উল্টো বাহরাইনকে নিয়ে ‘ছেলেখেলাই’ খেলল বাংলাদেশ।

প্রথমবারের দেখায় প্রতিপক্ষকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ।

এএফসি নারী এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বের বড় জয়ের ৫ গোলই প্রথমার্ধে করেন কোচ পিটার বাটলারের শিষ্যরা। শুরুটা করেন শামসুন্নাহার জুনিয়র। ম্যাচের ১০ মিনিটে প্রতিপক্ষের বক্স বরাবর দারুণ এক ক্রস করেন স্বপ্না রানি। গোলরক্ষক খুলুদ সালেহ আবদুল্লাহ গোল বাঁচাতে আসলে তাকে ফাঁকি দিয়ে বল জালে জড়ান শামসুন্নাহার।

৫ মিনিট পরেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ঋতুপর্ণা চাকমা। বাংলাদেশি ফরোয়ার্ডের গোলটি ছিল দেখার মতো। বক্সের বাঁ প্রান্ত থেকে বাঁ পায়ের অবিশ্বাস্য এক শটে গোলটি করেন তিনি। তার আগে দারুণ এক পাস দেন প্রথম গোলের সহায়তাকারি স্বপ্না।

পুরো ম্যাচেই প্রতিপক্ষের ওপর আধিপত্য দেখানো বাংলাদেশ ২৪ মিনিটে আরেকটি গোল পেতে পারত।

বাহরাইনের গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হলেন মনিকা চাকমা। খুলুদের মাথার ওপর দিয়ে চিপ করলেও বারের ওপর দিয়ে যায় বল। ৩২ মিনিটে অবশ্য তহুরা খাতুন গোল দিয়েছিলেন। অফসাইডের কারণে সেই গোল বাতিল হলেও পরে ঠিকই বিরতিতে যাওয়ার আগে জোড়া গোল করেছেন তিনি।

যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় ও চতুর্থ মিনিটে গোল করে ব্যবধান ৫-০ করেন তিনি। তার আগে ৪০ মিনিটে তৃতীয় গোলটি করেন কোহাতি কিসকু।

বিরতির পরেও দাপট ধরে রাখে বাংলাদেশ। ৪৭ মিনিটে তার ফল প্রায় পেয়েই গিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে শামসুন্নাহারকে দ্বিতীয় গোল পেতে দেননি বাহরাইনের গোলরক্ষক, বার থেকে সামনে বেরিয়ে এসে শেষ মুহূর্তে পা দিয়ে গোল সেভ করেন খুলুদ।

৬০ মিনিটে অবশ্য ব্যবধান কমানোর সুযোগ পেয়েছিল বাহরাইন। তবে দারুণ এক সেভ দেন গোলরক্ষক রূপনা চাকমা। গোলবার থেকে বেরিয়ে এসে বল ধরে ফেলেন তিনি। বাহরাইন না পেলেও ফিরতি মিনিটে ঠিকই ষষ্ঠ গোল পায় বাংলাদেশ। গোলমুখ থেকে বল পাঠানোর বিরতিতে বাহরাইনের ডিফেন্ডার রাওয়ান নাবেল আল আলি জালের জড়িয়ে দেন।

৬৭ মিনিটে আরেকটি দুর্দান্ত সেভ করেন রূপনা। প্রতিপক্ষের ফরোয়ার্ডের জোরালো শট বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে জাল অক্ষত রাখেন বাংলাদেশের গোলরক্ষক। আর ৭৪ মিনিটে প্রতিপক্ষের জালে শেষ পেরেকটি মারেন মোসাম্মৎ মুনকি আক্তার। পরে আর কোনো গোল না হলে মায়ানমারে শুরু হওয়া বাছাই পর্ব জয় দিয়ে শুরু করল বাংলাদেশ।