০৬:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫

ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করতে ওয়াশিংটনে নেতানিয়াহু

  • আপডেট সময়: ১০:৫৫:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫
  • 4

ফাইল ছবি। রয়টার্স


গাজা ও ইরান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করতে ওয়াশিংটনে পৌঁছেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ইরানের সঙ্গে ১২ দিনের যুদ্ধের পর এটি তার প্রথম যুক্তরাষ্ট্র সফর। সফরে ট্রাম্প ছাড়াও শীর্ষ মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর।

এদিকে ট্রাম্পে ও নেতানিয়াহুর বৈঠকের মধ্য দিয়ে গাজায় ২১ মাস ধরে চলমান সংঘাত বন্ধে নতুন যুদ্ধবিরতি ঘোষণার সম্ভাবনাও রয়েছে।

ট্রাম্প আগেই বলেছিলেন, তিনি নেতানিয়াহুর সঙ্গে গাজায় সংঘাতের অবসান বিষয়ে ‘অত্যন্ত দৃঢ়’ অবস্থান নিয়েছেন এবং চলতি সপ্তাহেই ‘একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হবে’ বলে তিনি মনে করেন।

নিউ জার্সির মরিসটাউনে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘আমি মনে করি বেশ কিছু জিম্মিদের বিষয়ে এই সপ্তাহে হামাসের সঙ্গে আমাদের একটি চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে… আমরা অনেক জিম্মিকে বের করে এনেছি, তবে বাকি জিম্মিদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বেরিয়ে আসবে। আমরা মনে করি আমরা এই সপ্তাহেই এটি সম্পন্ন করব।’


আরো পড়ুন

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৮২ ফিলিস্তিনি নিহত


এদিকে রোববার ওয়াশিংটনের উদ্দেশ্যে বিমানে ওঠার আগে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘মরা আলোচিত চুক্তি বাস্তবায়নের চেষ্টা করছি, আমাদের রাজি হওয়া শর্ত অনুযায়ী। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় নিঃসন্দেহে এই কাঙ্ক্ষিত ফলাফল আসবে।’

অন্যদিকে রোববার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় কাতারে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনা পুনরায় শুরু হয়েছে। যেখানে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবিত ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি ও বন্দিমুক্তি চুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে এবার আলোচনায়ও সমাধান হবে কি না, তা স্পষ্ট নয়।

যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা চললেও গাজায় ইসরায়েলের বর্বরতা অব্যাহত রয়েছে। রোববার (৬ জুলাই) সারাদিন ধরে চালানো বিমান হামলায় গাজা উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় কমপক্ষে ৮২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী ও শিশু রয়েছেন। একইসঙ্গে আহত হয়েছেন আরও অনেকে। এমন পরিস্থিতিতে ভয়াবহ মানবিক সংকটও দেখা দিয়েছে গাজায়।

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েল গাজার ৮৫ শতাংশ এলাকাকে সামরিক অঞ্চল ঘোষণা করেছে। শুধু মার্চের পর নতুন করে ৭ লাখ ১৪ হাজার মানুষ গৃহহীন হয়েছেন। গত চার মাস ধরে গাজায় এক ফোঁটা জ্বালানিও প্রবেশ করেনি, যার ফলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা কার্যত ভেঙে পড়েছে। নাসের হাসপাতাল এখন একটি বিশাল ট্রমা ওয়ার্ডে পরিণত হয়েছে। ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রগুলোতেও নিরাপত্তা মিলছে না।

সূত্র: বিবিসি, আনাদোলু

 

উত্তরাধুনিক

Writer, Singer & Environmentalist

ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করতে ওয়াশিংটনে নেতানিয়াহু

আপডেট সময়: ১০:৫৫:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫

ফাইল ছবি। রয়টার্স


গাজা ও ইরান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করতে ওয়াশিংটনে পৌঁছেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ইরানের সঙ্গে ১২ দিনের যুদ্ধের পর এটি তার প্রথম যুক্তরাষ্ট্র সফর। সফরে ট্রাম্প ছাড়াও শীর্ষ মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর।

এদিকে ট্রাম্পে ও নেতানিয়াহুর বৈঠকের মধ্য দিয়ে গাজায় ২১ মাস ধরে চলমান সংঘাত বন্ধে নতুন যুদ্ধবিরতি ঘোষণার সম্ভাবনাও রয়েছে।

ট্রাম্প আগেই বলেছিলেন, তিনি নেতানিয়াহুর সঙ্গে গাজায় সংঘাতের অবসান বিষয়ে ‘অত্যন্ত দৃঢ়’ অবস্থান নিয়েছেন এবং চলতি সপ্তাহেই ‘একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হবে’ বলে তিনি মনে করেন।

নিউ জার্সির মরিসটাউনে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘আমি মনে করি বেশ কিছু জিম্মিদের বিষয়ে এই সপ্তাহে হামাসের সঙ্গে আমাদের একটি চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে… আমরা অনেক জিম্মিকে বের করে এনেছি, তবে বাকি জিম্মিদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বেরিয়ে আসবে। আমরা মনে করি আমরা এই সপ্তাহেই এটি সম্পন্ন করব।’


আরো পড়ুন

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৮২ ফিলিস্তিনি নিহত


এদিকে রোববার ওয়াশিংটনের উদ্দেশ্যে বিমানে ওঠার আগে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘মরা আলোচিত চুক্তি বাস্তবায়নের চেষ্টা করছি, আমাদের রাজি হওয়া শর্ত অনুযায়ী। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় নিঃসন্দেহে এই কাঙ্ক্ষিত ফলাফল আসবে।’

অন্যদিকে রোববার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় কাতারে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনা পুনরায় শুরু হয়েছে। যেখানে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবিত ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি ও বন্দিমুক্তি চুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে এবার আলোচনায়ও সমাধান হবে কি না, তা স্পষ্ট নয়।

যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা চললেও গাজায় ইসরায়েলের বর্বরতা অব্যাহত রয়েছে। রোববার (৬ জুলাই) সারাদিন ধরে চালানো বিমান হামলায় গাজা উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় কমপক্ষে ৮২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী ও শিশু রয়েছেন। একইসঙ্গে আহত হয়েছেন আরও অনেকে। এমন পরিস্থিতিতে ভয়াবহ মানবিক সংকটও দেখা দিয়েছে গাজায়।

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েল গাজার ৮৫ শতাংশ এলাকাকে সামরিক অঞ্চল ঘোষণা করেছে। শুধু মার্চের পর নতুন করে ৭ লাখ ১৪ হাজার মানুষ গৃহহীন হয়েছেন। গত চার মাস ধরে গাজায় এক ফোঁটা জ্বালানিও প্রবেশ করেনি, যার ফলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা কার্যত ভেঙে পড়েছে। নাসের হাসপাতাল এখন একটি বিশাল ট্রমা ওয়ার্ডে পরিণত হয়েছে। ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রগুলোতেও নিরাপত্তা মিলছে না।

সূত্র: বিবিসি, আনাদোলু