০২:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫

গোপালগঞ্জে নিহতদের ময়নাতদন্ত না হওয়ার ব্যাখ্যা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের

  • আপডেট সময়: ০৭:০২:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫
  • 13

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রা ঘিরে হামলা ও সংঘর্ষে নিহত চারজনের সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত না হওয়া নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে গোপালগঞ্জের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি ব্যাখ্যা দিয়েছে।

রোববার (২০ জুলাই) বিকেলে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক জীবিতেষ বিশ্বাস স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, ‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ইচ্ছাকৃতভাবে ময়নাতদন্ত না করে লাশ হস্তান্তর করেন, বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসত্য।’

এতে বলা হয়, ওইদিন সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে প্রথম মৃতদেহটি যখন আসে তখন কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণার পর রোগীর স্বজনদের লাশ ময়নাতদন্তের কার্যক্রম শেষ করে লাশ নেয়ার কথা বললে স্বজনরা উত্তেজিত হয়ে ওঠে এবং এক পর্যায়ে জোরপূর্বক মরদেহ নিয়ে যায়।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, এরপরই সংঘর্ষে নিহত বাকি মৃতদেহগুলোও স্বজনরা ময়নাতদন্ত করাতে রাজি হয়নি, একইসঙ্গে হাসপাতালে কর্মরত কর্মচারীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে জোরপূর্বক মৃতদেহ নিয়ে যায় বলেও দাবি করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।

বুধবার (১৬ জুলাই) গোপালগঞ্জে এনসিপির কর্মসূচিতে দফায় দফায় হামলার পর পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় এ পর্যন্ত পাঁচজন নিহত হয়েছে।

যদিও নিহতদের স্বজনরা গণমাধ্যমকে বলেছেন, ঘটনার দিন হাসপাতাল কিংবা প্রশাসন থেকে কোনো সহায়তা পাননি তারা। বাধ্য হয়েই ময়নাতদন্ত ছাড়া মরদেহের শেষকৃত্য করা হয়েছে বলেও দাবি তাদের।

 

উত্তরাধুনিক

Writer, Singer & Environmentalist

গোপালগঞ্জে নিহতদের ময়নাতদন্ত না হওয়ার ব্যাখ্যা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের

আপডেট সময়: ০৭:০২:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রা ঘিরে হামলা ও সংঘর্ষে নিহত চারজনের সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত না হওয়া নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে গোপালগঞ্জের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি ব্যাখ্যা দিয়েছে।

রোববার (২০ জুলাই) বিকেলে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক জীবিতেষ বিশ্বাস স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, ‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ইচ্ছাকৃতভাবে ময়নাতদন্ত না করে লাশ হস্তান্তর করেন, বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসত্য।’

এতে বলা হয়, ওইদিন সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে প্রথম মৃতদেহটি যখন আসে তখন কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণার পর রোগীর স্বজনদের লাশ ময়নাতদন্তের কার্যক্রম শেষ করে লাশ নেয়ার কথা বললে স্বজনরা উত্তেজিত হয়ে ওঠে এবং এক পর্যায়ে জোরপূর্বক মরদেহ নিয়ে যায়।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, এরপরই সংঘর্ষে নিহত বাকি মৃতদেহগুলোও স্বজনরা ময়নাতদন্ত করাতে রাজি হয়নি, একইসঙ্গে হাসপাতালে কর্মরত কর্মচারীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে জোরপূর্বক মৃতদেহ নিয়ে যায় বলেও দাবি করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।

বুধবার (১৬ জুলাই) গোপালগঞ্জে এনসিপির কর্মসূচিতে দফায় দফায় হামলার পর পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় এ পর্যন্ত পাঁচজন নিহত হয়েছে।

যদিও নিহতদের স্বজনরা গণমাধ্যমকে বলেছেন, ঘটনার দিন হাসপাতাল কিংবা প্রশাসন থেকে কোনো সহায়তা পাননি তারা। বাধ্য হয়েই ময়নাতদন্ত ছাড়া মরদেহের শেষকৃত্য করা হয়েছে বলেও দাবি তাদের।