
মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্তের পরে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এখনো ছয়জনের মৃতদেহের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলাবার (২২ জুলাই) রাতে মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘এখনো ছয়টা মৃতদেহের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তাই যারা তাদের সন্তান বা স্বজনকে খুঁজে পাচ্ছেন না, তাদের প্রতি বিনীত অনুরোধ—আমাদের দেওয়া তালিকায় যদি তাদের সন্তানের বা স্বজনের নাম না থাকে, তাহলে দয়া করে মালিবাগ সিআইডি ভবনে গিয়ে যোগাযোগ করুন। সেইসঙ্গে ডিএনএ স্যাম্পলিংয়ের জন্য সহযোগিতা করুন।’
মন্ত্রণালয় জানায়, সিএমএইচে শনাক্ত হয়নি এমন মৃতদেহের ডিএনএ টেস্ট স্যাম্পল কালেক্ট করা হয়েছে।
সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর ১টা ১৮ মিনিটের দিকে উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজের একটি ভবনে বিমান বাহিনীর এফ-সেভেন বিজেআই মডেলের প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানটি বিধ্বস্ত হয়। সঙ্গে সঙ্গেই বিমানটিতে আগুন ধরে যায়।
এর পরপরই ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী ও নৌ বাহিনীর সদস্যরা সেখানে উদ্ধার কাজ শুরু করে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির যে ভবনটিতে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে, সেই ভবনে তখন স্কুলের জুনিয়র শিক্ষার্থীদের কোর্চি চলছিল বলে জানা গেছে।
জুনিয়র সেকশনের ওই ভবনে নার্সারি, ওয়ান, টু, থ্রি— এসব শ্রেণির ক্লাস হয়। যুদ্ধবিমানটি সরাসরি ভবনে আঘাত করে। ভবনটিতে ১০০-১৫০ শিক্ষার্থী ছিল বলে জানা যাচ্ছে।
এছাড়া স্কুল শাখায় তখন নার্সারি থেকে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস চলমান ছিল। স্কুল ছুটির আগ মুহূর্ত বা ছুটি হবে হবে, এরকম সময়ে এই দুর্ঘটনাটা ঘটে। হঠাৎ বিকট শব্দে বিমানটি ভেঙে পড়লে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। খবর পেয়ে ছুটে আসেন অভিভাবকরাও।
আইএসপিআর জানায়, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এফ-৭ বিজিআই প্রশিক্ষণ বিমান উত্তরায় বিধ্বস্ত হয়েছে। বিমানটি দুপুর ১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়ন করে। বিমানটি আকাশে ১৩ মিনিটের মতো উড্ডয়ন করে বলে জানা যায়।