
পাকিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি সিরিজ আগেই জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ। ম্যান ইন গ্রিনদের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে আজ মাঠে নেমেছিল ধবলধোলাইয়ের লক্ষ্য নিয়ে। তবে সে লক্ষ্যে সফল হয়নি স্বাগতিকরা। ১৭৯ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্যে খেলতে নেমে ব্যাটিং ব্যর্থতায় পড়ে টাইগাররা। ৪১ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে এক পর্যায়ে টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানে অল আউট হওয়ার শঙ্কায়ও ছিল লিটন দাসের দল। তবে শেষ পর্যন্ত সাইফউদ্দিন আহমেদের ৩৫ রানের ইনিংসের সুবাদে অল আউট হওয়ার আগে ১০৪ রানের সংগ্রহ গড়তে পারে লাল-সবুজের দল। তবে ৭৪ রানে হারলেও সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে টাইগাররা।
কলকাতার ইডেন গার্ডেনে ২০১৬ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৭০ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। টি–টোয়েন্টিতে সেটিই টাইগারদের দলীয় সর্বনিম্ন। আজ পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্রুত ৭ উইকেট হারানোয় বিব্রতকর সেই রেকর্ড ভাঙার শঙ্কায় ছিল বাংলাদেশ। তবে সাইফউদ্দিনের প্রতিরোধী ইনিংসের সুবাদে সে লজ্জা থেকে বেঁচে গেল টাইগাররা।
১৭৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শুরুতেই আউট হন তানজিদ তামিম। সেই থেকে শুরু। এরপর ব্যাটাররা ছিলেন আসা যাওয়ার মিছিলে। একে একে সাজঘরের পথ ধরেন লিটন, মিরাজ, জাকের আলী, মেহেদী হাসান, শামিমরা। প্রথম ৭ ব্যাটারের মধ্যে দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেন কেবল নাইম শেখ, তাও খেলেছেন ১৭ বলে ১০ রানের ইনিংস।
তবে শেষ দিকে সাইফউদ্দিন হাল ধরেছিলেন, তিনি ৩৪ বলে করেন ৩৫ রান। তবে তার এই ইনিংস বড় হারের লজ্জা থেকে বাঁচিয়েছে কেবল। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ অল আউট হয় ১০৪ রানে, সাইফউদ্দিন অপরাজিত ছিলেন ৩৫ রানে।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে আজ পাকিস্তানের শুরুটা হয়েছে দুর্দান্ত। একাদশে জায়গা পেয়েই নিজের নামের প্রতি সুবিচার করেছেন ফারহান। তার মারকুটে ইনিংসের সুবাদেই। ওপেনিং জুটিতে ৮২ রানের দেখা পায় পাকিস্তান। এর বেশিরভাগ রানই করেছেন ফারহান। ১৫ বলে ২১ রান করে সাজঘরে ফিরেন সাইম আইয়্যুব।
এদিকে মারকুটে ইনিংস খেলা ফারহান ২৯ বলে ফিফটি করার পর শেষ পর্যন্ত আউট হন ৪১ বলে ৬৩ রান করে। সাইমের মত তিনিও আউট হন নাসুম আহমেদের বলে। এরপর মোহাম্মদ হারিসকে সাজঘরের পথ দেখান তাসকিন।
ফারহান ছাড়াও আগ্রাসী ইনিংস খেলেছেন হাসান নওয়াজ। তিনি আজ করেছেন ১৭ বলে ৩৩ রান। শরিফুলের বলে আউট হন তিনি। এদিকে পাকিস্তান শেষ পর্যন্ত বড় সংগ্রহ পায় মোহাম্মদ নওয়াজের মারকুটে ইনিংসের সুবাদে।
পাকিস্তানি এই ব্যাটার খেলেছেন ১৬ বলে ২৭ রানের ইনিংস। তাসকিনের বলে আউট হলেও তার দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্সেই নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৭৮ রানের সংগ্রহ পায় পাকিস্তান।