
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ ও অমাবস্যার প্রভাবে মেঘনা নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীর কমলনগর ও রামগতি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। লক্ষাধিক মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে।
শনিবার (২৬ জুলাই) বিকেলে নদীতে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে।
নদীর তীরবর্তী গ্রামগুলো জোয়ারের পানিতে ডুবে গেছে। বসতবাড়ি এবং সড়কে পানি উঠে গেছে। কারো কারো ঘরের ভেতরেও পানি উঠে গেছে। তবে সন্ধ্যার দিকে নেমে যেতে থাকে।
গত তিনদিন ধরে এ অবস্থা চলছে।
সরেজমিনে কমলনগরে মধ্য ও পশ্চিম চরমার্টিন গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, জোয়ারের পানি হুহু করে লোকালয়ে ঢুকছে। এতে নিচু এলাকা তলিয়ে যেতে দেখা যায়। বসতবাড়ির উঠান এবং সড়কে পানি উঠে যেতে দেখা গেছে।
অনেকের পুকুর ভেসে মাছ বের হয়ে গেছে।
আরো পড়ুন
নির্বাচনের আগে সব অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
https://www.kalerkantho.com/online/national/2025/07/26/1552856
তোরাবগঞ্জ এলাকার কামাল হোসেন জানান, জোয়ারের পানিতে তারা বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ঘরে পানি উঠে গেলে সাময়িক অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়। রান্নার কাজে ব্যাহত হয়। গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েন তারা।
এছাড়া মাঠে থাকা আমনের বীজতলা নষ্ট হচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সরকার মেঘনা নদীর তীররক্ষা বাঁধ নির্মাণের জন্য ৩ হাজার ১০০ কোটি টাকার বরাদ্দ হয়। চলতি বছর কাজের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। কিন্তু গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতের পর ৫ জন ঠিকাদার লাপাত্তা রয়েছে। এতে কয়েক কিলোমিটার বাঁধ কাজ এখনো ধরা হয়নি। চলমান কাজগুলোও ধীরগতিতে চলছে।
লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ উজ জামান খান বলেন, ‘আগে মানুষ এত পানি দেখেনি। নদীর তীররক্ষা বাঁধের কাজ ধীরগতিতে করায় ঠিকাদারদের ৮টি কাজ বাতিল বাতিল করা হয়েছে। এসব কাজের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। ইতিমধ্যে বাঁধের ৪০ ভাগেরও বেশি কাজ শেষ হয়েছে।’