০৫:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫

মেট্রো স্টেশনের ফুটপাত গিলে খাচ্ছে হকার, বিড়ম্বনায় যাত্রীরা

  • আপডেট সময়: ০৯:৩১:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫
  • 44

মেট্রো স্টেশনের ফুটপাত হকারদের দখলে। ছবি: ঢাকা মেইল


রাজধানীর শাহবাগ মেট্রো স্টেশনের নিচে ও আশপাশের ফুটপাথ দখল হয়ে গেছে নানা ধরনের দোকানপাটে। এতে মেট্রো থেকে নেমেই পথচারীদের পড়তে হচ্ছে ভিড় ও বিশৃঙ্খলার মধ্যে। হাসপাতালমুখী রোগী থেকে শুরু করে অফিসগামী সাধারণ মানুষ পর্যন্ত প্রতিদিনই এই ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। শহরের সবচেয়ে ব্যস্ত এলাকায় এই চিত্র শুধু উন্নয়নকে প্রশ্নবিদ্ধই করছে না, বরং পথচারীদের নিরাপত্তা ও জনস্বার্থকেও চরমভাবে ব্যাহত করছে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, শাহবাগ মেট্রো স্টেশনের পাশে মেট্রোরেলের যে তথ্য বোর্ডটি দেওয়া আছে তার দুই পাশে দুটি দোকান থাকায় বোর্ডটি চোখেই পড়ছে না। বারডেম হাসপাতাল সংলগ্ন শাহবাগ চত্বরের দিকের মেট্রোরেলের যে সিঁড়িটি আছে, সেটি থেকে বের হলে ফুটপাত ধরে একটু হেঁটে রমনায় যাওয়া যায়। কিন্তু সেখানকার পরিস্থিতি একেবারে ভিন্ন, ফুটপাতের দুই পাশে দোকান থাকায় সেই ফুটপাতটি একদম সরু হয়ে গেছে। সেখানে দুজন লোক ক্রসিং করতে শরীরের সঙ্গে লেগে যাবে, সেই ফুটপাথটি সবাই প্রায় পরিহার করে চলছে।

বারডেম হাসপাতালের পাশের মেট্রো স্টেশনের নিচের যে ফুটপাতটি আছে সেই ফুটপাথকে ঘিরে ফলের দোকান, ডাব, ভাজাপোড়া, সিদ্ধ ডিম, জুস, জুতা-গামছা, কসমেটিকস, গৃহস্থালি পণ্য এবং মনিহারিসহ নানা দোকান বসেছে। এত দোকানের ভিড়ে ফুটপাত প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। পথচারীরা বাধ্য হয়ে রাস্তায় নামছেন, আর হাসপাতালমুখী মানুষদের জন্য বিশেষ সমস্যা তৈরি হচ্ছে।

মেট্রো স্টেশন আধুনিক শহরের প্রতীক। কিন্তু স্টেশনের নিচে এবং আশপাশে ফুটপাথ দখলে পথচারীদের বিরক্তিকর অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

“ফুটপাত দখল করলে মানুষ হয়ত বিরক্ত হয়, কিন্তু আমাদের তো পরিবার নিয়ে খেয়ে-পরে বাঁচতে হবে। তবে যদি সিটি করপোরেশন আমাদের জন্য নির্দিষ্ট হকার মার্কেট বানাতো, আমরা সেখানেই চলে যেতাম।”

ফুটপাতের দোকানি

শাহবাগ এলাকার একজন চাকরিজীবী বলেন, মেট্রো স্টেশন তৈরি হয়েছে উন্নয়নের জন্য। কিন্তু ফুটপাতে এত পরিমাণ দোকান হয়েছে যে, এখানে হাঁটা-চলা করা কষ্টসাধ্য হয়ে গেছে। হাসপাতালে ছোট ছেলেকে নিয়ে আসতে হয়। ফুটপাতে দোকান বসানোয় আমাকে প্রায়ই রাস্তায় নেমে হাঁটতে হয়। এখানের ট্রাফিক এমনিতেই খুব বেশি, রাস্তায় নেমে হাঁটা বিপজ্জনক।

হাঁটার জায়গা নেই ফুটপাতে। ছবি: ঢাকা মেইল

আরেকজন পথচারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলেন, মেট্রোরেল দ্রুত যাতায়াতের সুযোগ করে দিয়েছে ঠিকই, কিন্তু নামার পর ফুটপাতে এই বিশৃঙ্খলা দেখলে সব সুবিধাই ম্লান হয়ে যায়। কর্তৃপক্ষ যদি একটু কঠোর হতো এবং এদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা করে দিতো তাহলে আমরা অনেক স্বস্তি নিয়ে চলাফেরা করতে পারতাম।

মেট্রো ব্যবহার করে হাসপাতালে রোগী দেখতে আসা এক পথচারী বলেন, হাসপাতাল থেকে বের হয়ে ফুটপাত দিয়ে হাঁটার মতো জায়গা নেই। অসুস্থ মানুষদের জন্য তো এটা আরও কষ্টকর। ফুটপাতে দোকান আর ভিড়ের কারণে রোগী নিয়ে হাঁটা কষ্টকর। এমনকি জরুরি ভিত্তিতে রোগীকে হাসপাতালে নিতে গেলেও এই দোকানগুলো বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। মেট্রোরেলের নিচে এত দোকান থাকার কোনো মানে হয় না।

তবে দোকানদাররা বলছেন, বিকল্প আয়ের উৎস না থাকায় তারা ফুটপাতে দোকান দিয়েছেন।

শাহবাগের ফুটপাতের একজন ফলের দোকানদার নাম প্রকাশ না করে বলেন, ‘ফুটপাত দখল করলে মানুষ হয়ত বিরক্ত হয়, কিন্তু আমাদের তো পরিবার নিয়ে খেয়ে-পরে বাঁচতে হবে। তবে যদি সিটি করপোরেশন আমাদের জন্য নির্দিষ্ট হকার মার্কেট বানাতো, আমরা সেখানেই চলে যেতাম। জোর করে আমাদের সরালে আমরা কোথায় যাবো?’

একজন চায়ের দোকানদার বলেন, ‘আমি পাঁচ বছর ধরে এখানে দোকান করি। বিভিন্ন সময় পুলিশ এসে আমাদের উঠিয়ে দিতে চায়। ফুটপাতে দোকান না দিলে সংসার চলবে না। অন্য কোথাও জায়গা পাই না। আমাদেরও তো বাঁচতে হবে।’

রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের অধীনে থাকা প্রায় ১৬৩ কিলোমিটার ফুটপাতের মধ্যে ১০৮ কিলোমিটার অবৈধভাবে দখল হয়ে গেছে বলে সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

অন্যদিকে, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)–এর একটি সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ঢাকার প্রায় ৬০ শতাংশ ফুটপাতই ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পড়েছে দখলের কারণে। এর সবচেয়ে প্রকট চিত্র দেখা যায় শাহবাগ এলাকায়, সেখানে দুটি গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালকে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (পিজি হাসপাতাল) ও বারডেম হাসপাতালকে কেন্দ্র করে আশপাশের ফুটপাথ কার্যত বাজারে পরিণত হয়েছে।

লোক-দেখানো উচ্ছেদ অভিযানে হচ্ছে না দখলমুক্ত। ছবি: ঢাকা মেইল

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ফুটপাত মুক্ত করার জন্য বিভিন্ন সময় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছে। তবে বাস্তবে পরিস্থিতি খুব বেশি পরিবর্তিত হচ্ছে না। মাঝে মাঝে উচ্ছেদ হলেও দোকানদাররা আবার ফিরছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফুটপাত দখল সমস্যা সমাধানের জন্য শুধু উচ্ছেদ নয়, বিকল্প হকার মার্কেট বা নির্দিষ্ট জোন তৈরি করা জরুরি। একদিকে পথচারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, অন্যদিকে হকারদের জীবিকার ব্যবস্থা করা- এই দুই দিক বিবেচনা করে টেকসই সমাধান প্রয়োজন। শুধু উচ্ছেদ নয়, বিকল্প জায়গায় হকার মার্কেট বা নির্দিষ্ট জোন তৈরি করা ছাড়া সমস্যার সমাধান হবে না।

শাহবাগের ফুটপাত দখল সমস্যা শুধু পথচারীরই নয়, দোকানদারের জীবনকথাও স্পর্শ করছে। মেট্রো চালু হলেও আশপাশের ফুটপাতের বিশৃঙ্খলা উন্নয়নের ছাপকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। তাই সমাধান হতে হবে পথচারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জীবিকা রক্ষা করা। না হলে রাজধানীর আধুনিক অবকাঠামোর ছাপ ফুটপাথের বিশৃঙ্খলায় ঢাকা পড়বে। মাহফুজুর রহমান, ঢাকা মেইল

উত্তরাধুনিক

Writer, Singer & Environmentalist

ভ্যাঙ্কি আংটি: ঐশ্বরিয়ার হাতের এই আংটি কখনও খোলেন না, জানেন এর পেছনের গল্প?

মেট্রো স্টেশনের ফুটপাত গিলে খাচ্ছে হকার, বিড়ম্বনায় যাত্রীরা

আপডেট সময়: ০৯:৩১:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫

মেট্রো স্টেশনের ফুটপাত হকারদের দখলে। ছবি: ঢাকা মেইল


রাজধানীর শাহবাগ মেট্রো স্টেশনের নিচে ও আশপাশের ফুটপাথ দখল হয়ে গেছে নানা ধরনের দোকানপাটে। এতে মেট্রো থেকে নেমেই পথচারীদের পড়তে হচ্ছে ভিড় ও বিশৃঙ্খলার মধ্যে। হাসপাতালমুখী রোগী থেকে শুরু করে অফিসগামী সাধারণ মানুষ পর্যন্ত প্রতিদিনই এই ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। শহরের সবচেয়ে ব্যস্ত এলাকায় এই চিত্র শুধু উন্নয়নকে প্রশ্নবিদ্ধই করছে না, বরং পথচারীদের নিরাপত্তা ও জনস্বার্থকেও চরমভাবে ব্যাহত করছে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, শাহবাগ মেট্রো স্টেশনের পাশে মেট্রোরেলের যে তথ্য বোর্ডটি দেওয়া আছে তার দুই পাশে দুটি দোকান থাকায় বোর্ডটি চোখেই পড়ছে না। বারডেম হাসপাতাল সংলগ্ন শাহবাগ চত্বরের দিকের মেট্রোরেলের যে সিঁড়িটি আছে, সেটি থেকে বের হলে ফুটপাত ধরে একটু হেঁটে রমনায় যাওয়া যায়। কিন্তু সেখানকার পরিস্থিতি একেবারে ভিন্ন, ফুটপাতের দুই পাশে দোকান থাকায় সেই ফুটপাতটি একদম সরু হয়ে গেছে। সেখানে দুজন লোক ক্রসিং করতে শরীরের সঙ্গে লেগে যাবে, সেই ফুটপাথটি সবাই প্রায় পরিহার করে চলছে।

বারডেম হাসপাতালের পাশের মেট্রো স্টেশনের নিচের যে ফুটপাতটি আছে সেই ফুটপাথকে ঘিরে ফলের দোকান, ডাব, ভাজাপোড়া, সিদ্ধ ডিম, জুস, জুতা-গামছা, কসমেটিকস, গৃহস্থালি পণ্য এবং মনিহারিসহ নানা দোকান বসেছে। এত দোকানের ভিড়ে ফুটপাত প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। পথচারীরা বাধ্য হয়ে রাস্তায় নামছেন, আর হাসপাতালমুখী মানুষদের জন্য বিশেষ সমস্যা তৈরি হচ্ছে।

মেট্রো স্টেশন আধুনিক শহরের প্রতীক। কিন্তু স্টেশনের নিচে এবং আশপাশে ফুটপাথ দখলে পথচারীদের বিরক্তিকর অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

“ফুটপাত দখল করলে মানুষ হয়ত বিরক্ত হয়, কিন্তু আমাদের তো পরিবার নিয়ে খেয়ে-পরে বাঁচতে হবে। তবে যদি সিটি করপোরেশন আমাদের জন্য নির্দিষ্ট হকার মার্কেট বানাতো, আমরা সেখানেই চলে যেতাম।”

ফুটপাতের দোকানি

শাহবাগ এলাকার একজন চাকরিজীবী বলেন, মেট্রো স্টেশন তৈরি হয়েছে উন্নয়নের জন্য। কিন্তু ফুটপাতে এত পরিমাণ দোকান হয়েছে যে, এখানে হাঁটা-চলা করা কষ্টসাধ্য হয়ে গেছে। হাসপাতালে ছোট ছেলেকে নিয়ে আসতে হয়। ফুটপাতে দোকান বসানোয় আমাকে প্রায়ই রাস্তায় নেমে হাঁটতে হয়। এখানের ট্রাফিক এমনিতেই খুব বেশি, রাস্তায় নেমে হাঁটা বিপজ্জনক।

হাঁটার জায়গা নেই ফুটপাতে। ছবি: ঢাকা মেইল

আরেকজন পথচারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলেন, মেট্রোরেল দ্রুত যাতায়াতের সুযোগ করে দিয়েছে ঠিকই, কিন্তু নামার পর ফুটপাতে এই বিশৃঙ্খলা দেখলে সব সুবিধাই ম্লান হয়ে যায়। কর্তৃপক্ষ যদি একটু কঠোর হতো এবং এদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা করে দিতো তাহলে আমরা অনেক স্বস্তি নিয়ে চলাফেরা করতে পারতাম।

মেট্রো ব্যবহার করে হাসপাতালে রোগী দেখতে আসা এক পথচারী বলেন, হাসপাতাল থেকে বের হয়ে ফুটপাত দিয়ে হাঁটার মতো জায়গা নেই। অসুস্থ মানুষদের জন্য তো এটা আরও কষ্টকর। ফুটপাতে দোকান আর ভিড়ের কারণে রোগী নিয়ে হাঁটা কষ্টকর। এমনকি জরুরি ভিত্তিতে রোগীকে হাসপাতালে নিতে গেলেও এই দোকানগুলো বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। মেট্রোরেলের নিচে এত দোকান থাকার কোনো মানে হয় না।

তবে দোকানদাররা বলছেন, বিকল্প আয়ের উৎস না থাকায় তারা ফুটপাতে দোকান দিয়েছেন।

শাহবাগের ফুটপাতের একজন ফলের দোকানদার নাম প্রকাশ না করে বলেন, ‘ফুটপাত দখল করলে মানুষ হয়ত বিরক্ত হয়, কিন্তু আমাদের তো পরিবার নিয়ে খেয়ে-পরে বাঁচতে হবে। তবে যদি সিটি করপোরেশন আমাদের জন্য নির্দিষ্ট হকার মার্কেট বানাতো, আমরা সেখানেই চলে যেতাম। জোর করে আমাদের সরালে আমরা কোথায় যাবো?’

একজন চায়ের দোকানদার বলেন, ‘আমি পাঁচ বছর ধরে এখানে দোকান করি। বিভিন্ন সময় পুলিশ এসে আমাদের উঠিয়ে দিতে চায়। ফুটপাতে দোকান না দিলে সংসার চলবে না। অন্য কোথাও জায়গা পাই না। আমাদেরও তো বাঁচতে হবে।’

রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের অধীনে থাকা প্রায় ১৬৩ কিলোমিটার ফুটপাতের মধ্যে ১০৮ কিলোমিটার অবৈধভাবে দখল হয়ে গেছে বলে সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

অন্যদিকে, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)–এর একটি সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ঢাকার প্রায় ৬০ শতাংশ ফুটপাতই ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পড়েছে দখলের কারণে। এর সবচেয়ে প্রকট চিত্র দেখা যায় শাহবাগ এলাকায়, সেখানে দুটি গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালকে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (পিজি হাসপাতাল) ও বারডেম হাসপাতালকে কেন্দ্র করে আশপাশের ফুটপাথ কার্যত বাজারে পরিণত হয়েছে।

লোক-দেখানো উচ্ছেদ অভিযানে হচ্ছে না দখলমুক্ত। ছবি: ঢাকা মেইল

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ফুটপাত মুক্ত করার জন্য বিভিন্ন সময় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছে। তবে বাস্তবে পরিস্থিতি খুব বেশি পরিবর্তিত হচ্ছে না। মাঝে মাঝে উচ্ছেদ হলেও দোকানদাররা আবার ফিরছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফুটপাত দখল সমস্যা সমাধানের জন্য শুধু উচ্ছেদ নয়, বিকল্প হকার মার্কেট বা নির্দিষ্ট জোন তৈরি করা জরুরি। একদিকে পথচারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, অন্যদিকে হকারদের জীবিকার ব্যবস্থা করা- এই দুই দিক বিবেচনা করে টেকসই সমাধান প্রয়োজন। শুধু উচ্ছেদ নয়, বিকল্প জায়গায় হকার মার্কেট বা নির্দিষ্ট জোন তৈরি করা ছাড়া সমস্যার সমাধান হবে না।

শাহবাগের ফুটপাত দখল সমস্যা শুধু পথচারীরই নয়, দোকানদারের জীবনকথাও স্পর্শ করছে। মেট্রো চালু হলেও আশপাশের ফুটপাতের বিশৃঙ্খলা উন্নয়নের ছাপকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। তাই সমাধান হতে হবে পথচারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জীবিকা রক্ষা করা। না হলে রাজধানীর আধুনিক অবকাঠামোর ছাপ ফুটপাথের বিশৃঙ্খলায় ঢাকা পড়বে। মাহফুজুর রহমান, ঢাকা মেইল