
মেজর শাহার নেতানেল বোজাগলো
গাজা উপত্যকার সবচেয়ে বড় শহর গাজা সিটিতে অভিযানের সময় হামাসের হামলায় ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) এক কমান্ডার নিহত হয়েছেন। গত সপ্তাহে গাজা সিটিতে বৃহৎ অভিযান শুরুর পর ইসরায়েলি বাহিনীর প্রথম সেনা কর্মকর্তা নিহত হওয়ার ঘটনা এটি।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে আইডিএফ জানিয়েছে, নিহত সেনা কর্মকর্তার নাম মেজর শাহার নেতানেল বোজাগলো (২৭), তিনি ৭ম আর্মার্ড ব্রিগেডের ৭৭তম ব্যাটালিয়নের কোম্পানি কমান্ডার এবং মিগডাল হেমেকের বাসিন্দা ছিলেন।
আইডিএফের প্রাথমিক তদন্ত অনুসারে, সোমবার গাজা সিটিতে চলমান অভিযানের সময় একজন হামাস যোদ্ধা ৭৭তম ব্যাটালিয়নের একটি ট্যাঙ্কে রকেট-চালিত গ্রেনেড (আরপিজি) ছোড়ে, এতে গুরুতর আহত হন বোজাগলো। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে তার অবস্থার অবনতি হয় এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে গাজা সিটিতে বড় ধরনের স্থল অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। ভারী বিমান হামলার মধ্যেই শহরটির বিভিন্ন অংশে ইসরায়েলের স্থল সেনারা প্রবেশ করে। এরপর থেকেই লাখ লাখ ফিলিস্তিনিকে উপকূলীয় রাস্তা দিয়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য করা হয়।

অভিযান শুরু আগে গাজা সিটিতে প্রায় ১০ লাখ ফিলিস্তিনি বাস করতেন। আইডিএফের নতুন হিসাব অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত প্রায় ৬ লাখ ৪০ হাজার গাজার দক্ষিণ দিকে সরে গেছে।
ইসরায়েল বলছে, গাজা সিটিতে এই অভিযানের লক্ষ্য হলো হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের মুক্ত করা এবং সেখানে থাকা হামাসের আনুমানিক তিন হাজার যোদ্ধাকে পরাজিত করা। হামাসের এই দলটিকে ‘সবশেষ শক্ত ঘাঁটি’ হিসেবে অভিহিত করেছে দখলদার বাহিনী।
কিন্তু আন্তর্জাতিকভাবে এ অভিযানের ব্যাপক নিন্দা করা হয়েছে। গাজার পরিস্থিতি ‘অমানবিক, বিবেকহীন’ বলে সতর্ক করেছে সেভ দ্য চিলড্রেন এবং অক্সফামসহ ২০টির বেশি প্রধান দাতা সংস্থার নেতারা।
এছাড়াও গাজা সিটি আক্রমণের সমালোচনা করেছেন আইডিএফ চিফ অফ স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইয়াল জামির নিজেও, যিনি ইসরায়েলি মন্ত্রীদের বলেছিলেন, এই অভিযানে অপ্রয়োজনীয়ভাবে সৈন্য এবং হামাসের হাতে বন্দি বাকি ৪৮ জন জিম্মির জন্য বিপদ ডেকে আনবে।
সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল























