
রাজধানী ঢাকা এখন ফাঁকা। ছবি: ঢাকা মেইল
ঈদুল আজহার দীর্ঘ ছুটি। রাজধানীর বেশির ভাগ মানুষ ছুটে গেছেন দেশের নানা প্রান্তে। রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা একেবারেই কম। তবু বায়ুদূষণের শীর্ষ তালিকাতেই থাকছে রাজধানী ঢাকা। আজ মঙ্গলবারও (১০ জুন) সারা বিশ্বে বায়ুদূষণের তালিকায় ঢাকার অবস্থান পঞ্চম।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান নির্ধারণ সংস্থা আইকিউএয়ার জানায়, আজ ঢাকার বাতাস ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠী’র জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৪৩ স্কোর নিয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে ঢাকা। তালিকায় প্রথম ভারতের দিল্লি এবং দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে নেদারল্যান্ডের শহর আমস্টারডাম।
শনিবার (৭ জুন) ঈদুল আজহার দিনে ঢাকার বায়ুমানের অবনতি হয়। সেদিন বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে ঢাকার বায়ুমান ছিল ১০৯, যা সংবেদনশীল মানুষের জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক। অথচ, একদিন আগেও ঢাকার বাতাস সহনীয় পর্যায়ে ছিল। ঈদের দিন দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ছিল ১১তম স্থানে। আগের দিন শুক্রবার ৭৯ বায়ুমান নিয়ে ২১তম স্থানে ছিল ঢাকা। ঈদের পরদিনও বায়ুদূষণে ঢাকার অবস্থান ছিল তৃতীয়।
আইকিউএয়ার জানায়, দূষিত শহরের তালিকায় প্রথম অবস্থানে থাকা দিল্লির বায়ুর মানের স্কোর ১৭৬, দ্বিতীয় স্থানে থাকা আমস্টারডামের স্কোর ১৫৮। যা দুটির শহরের বাতাসই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচিত। তালিকায় ১৫৩ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের কলকাতা। চতুর্থ স্থানে আছে চিলির সান্টিয়াগো, শহরটির বাতাসের মানের স্কোর ১৫১।
আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, স্কোর শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ‘ভালো’ বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা ‘সহনীয়’ ধরা হয় বায়ুর মান। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠী’র (অসুস্থ বা শিশু-বৃদ্ধ) জন্য অস্বাস্থ্যকর ধরা হয়।
আর স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত থাকলে সে বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বলে বিবেচনা করা হয় এবং ৩০১ এর বেশি হলে তা ‘দুর্যোগপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়।