০৬:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

আবারও আন্দোলনে নামছেন কর্মচারীরা, সচিবালয়ে আজ গণজমায়েত

  • আপডেট সময়: ০৯:১৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫
  • 12

সংগৃহীত ছবি


‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে ফের আন্দোলনে নামছেন কর্মচারীরা। আজ সোমবার (১৬ জুন) সচিবালয়ে গণজমায়েত করবেন তারা। এরপর তিনজন উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দেবেন।

রবিবার (১৫ জুন) বাংলাদেশে সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-মহাসচিব মো. নজরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

গণজমায়েতে অংশ নিতে ঐক্য ফোরামের পক্ষ থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছে বার্তা পাঠানো হয়েছে।

সেখানে বলা হয়েছে, ১৯৭৯ সালের অর্ডিন্যান্সের অনুরূপ অমানবিক, অসাংবিধানিক ও মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী এবং হাস্যকর সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ অবিলম্বে বাতিলের লক্ষ্যে ঈদ-পরবর্তী গণজমায়েতে অংশ নিন।

চার ধরনের শৃঙ্খলাভঙ্গের অপরাধের জন্য বিভাগীয় মামলা ছাড়াই শুধু কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে সরকারি চাকরিজীবীদের চাকরিচ্যুত করার বিধান রেখে গত ২৫ মে সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। তার আগ থেকে এই অধ্যাদেশের খসড়া বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নামেন সচিবালয়ের কর্মচারীরা। চাকরি অধ্যাদেশ জারির পর তারা সচিবালয়ে নজিরবিহীন বিক্ষোভ-সমাবেশ এবং এক ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালনের পর উপদেষ্টাদের স্মারকলিপি দেন।

পরে কর্মচারী নেতাদের সঙ্গে আলোচনার পর ভূমিসচিবের নেতৃত্বে কয়েকজন সচিব কর্মচারীদের দাবির বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদসচিবকে জানান। এরপর মন্ত্রিপরিষদসচিব তা প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। এই অধ্যাদেশ পর্যালোচনায় ৪ জুন আইন উপদেষ্টাকে প্রধান করে একটি কমিটি করেছে সরকার। এই কমিটিকে আন্দোলনরত সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সুপারিশ দিতে বলা হয়েছে। কত দিনের মধ্যে কমিটিকে সুপারিশ দিতে হবে, তা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়নি।

 

উত্তরাধুনিক

Writer, Singer & Environmentalist

আবারও আন্দোলনে নামছেন কর্মচারীরা, সচিবালয়ে আজ গণজমায়েত

আপডেট সময়: ০৯:১৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

সংগৃহীত ছবি


‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে ফের আন্দোলনে নামছেন কর্মচারীরা। আজ সোমবার (১৬ জুন) সচিবালয়ে গণজমায়েত করবেন তারা। এরপর তিনজন উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দেবেন।

রবিবার (১৫ জুন) বাংলাদেশে সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-মহাসচিব মো. নজরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

গণজমায়েতে অংশ নিতে ঐক্য ফোরামের পক্ষ থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছে বার্তা পাঠানো হয়েছে।

সেখানে বলা হয়েছে, ১৯৭৯ সালের অর্ডিন্যান্সের অনুরূপ অমানবিক, অসাংবিধানিক ও মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী এবং হাস্যকর সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ অবিলম্বে বাতিলের লক্ষ্যে ঈদ-পরবর্তী গণজমায়েতে অংশ নিন।

চার ধরনের শৃঙ্খলাভঙ্গের অপরাধের জন্য বিভাগীয় মামলা ছাড়াই শুধু কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে সরকারি চাকরিজীবীদের চাকরিচ্যুত করার বিধান রেখে গত ২৫ মে সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। তার আগ থেকে এই অধ্যাদেশের খসড়া বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নামেন সচিবালয়ের কর্মচারীরা। চাকরি অধ্যাদেশ জারির পর তারা সচিবালয়ে নজিরবিহীন বিক্ষোভ-সমাবেশ এবং এক ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালনের পর উপদেষ্টাদের স্মারকলিপি দেন।

পরে কর্মচারী নেতাদের সঙ্গে আলোচনার পর ভূমিসচিবের নেতৃত্বে কয়েকজন সচিব কর্মচারীদের দাবির বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদসচিবকে জানান। এরপর মন্ত্রিপরিষদসচিব তা প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। এই অধ্যাদেশ পর্যালোচনায় ৪ জুন আইন উপদেষ্টাকে প্রধান করে একটি কমিটি করেছে সরকার। এই কমিটিকে আন্দোলনরত সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সুপারিশ দিতে বলা হয়েছে। কত দিনের মধ্যে কমিটিকে সুপারিশ দিতে হবে, তা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়নি।